গৃহবধুরকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা
AmaderBrahmanbaria.COM
নভেম্বর ২৮, ২০১৭
---
বিশেষ প্রতিনিধি : আশুগঞ্জে রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত গৃহবধুর লাশ সনাক্ত করেছে স্বজনরা। নিহত গৃহবধুর নাম তাহমিনা(৩০)। সে উপজেলার বড়তল্লা গ্রামের মৃত সাদেক মিয়ার ছেলে জালাল মিয়ার স্ত্রী এবং তারুয়া গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ফারুক মিয়ার মেয়ে।সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাড়িতে উপস্থিত হয়ে নিহতের বাবা লাশ সনাক্ত করে।
নিহতের পারিবারিক জানা যায়, ২০০৬ সালে উপজেলার বড়তল্লা গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে জালাল মিয়ার সাথে পারিবারিক বিয়ে হয় তাহমিনার। দীর্ঘ ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে দুই পূত্র ও এক কন্যা সন্তানের মা হয় তাহমিনা। দাম্পত্য জীবন কখনো সুখময় ছিল না তাহমিনার। কারণে অকারণে নির্যাতন করত তার উপর। প্রায় সময় মোটা অংকের যৌতুক দেয়া হলেও বিভিন্ন অযুহাতে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে তাহমিনার উপর তার স্বামী ও শাশুরী চাপ সৃষ্টি করতো। সম্প্রতি বাবার বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য তাকে চাপ দেয়া হয়। কিন্তু তার পিতা সামন্য কলা ব্যবসায়ীর পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় এ নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এই বিবাদের জের ধরেই তাহমিনাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য রেল লাইনে পাশে ফেলে রাখে।
নিহত তাহমিনার বাবা ফারুক মিয়া বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে তার স্বামী জালাল মিয়া (৪০) সহ ৬ জন এবং আরো অজ্ঞাত ৫/৭ জনের বিরুব্ধে মামলা দায়ের করেছের। আদালত মামলাটি রজ্জু করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আশুগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দিয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হল, নিহতের শাশুরী রোফিয়া বেগম(৫৫), ভাসুর সাইফুল(৪২), স্বামীর নিকট আত্মীয় শওকত(৫৫), কাউছার(৩৮) ও খোকন(৩৫)।
আদালত সূএ, মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মোঃ সানাউল হক জানান, নিহতের মাথা, গলা, হাত আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাহমিনার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।