জেএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডের গণিত প্রশ্নপত্রে ভুল
---
চলমান জেএসসি পরীক্ষার কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের গণিতের প্রশ্নপত্রে দুটি নৈর্ব্যক্তিক (বহু নির্বাচনী) প্রশ্নের সঠিক উত্তর ছিল না। গণিত বিষয়ের পরীক্ষার ‘খ’ সেটের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রের ২৫ নম্বর প্রশ্নে লেখা হয় ‘পি’ রম্বসের ক্ষেত্রফল নিচের কোনটি?’ উত্তরের জন্য অপশন দেয়া হয় (ক) ৭ বর্গ সেন্টিমিটার, (খ) ২৪ বর্গ সেন্টিমিটার, (গ) ২৮ বর্গ সেন্টিমিটার ও (ঘ) ৪৮ বর্গ সেন্টিমিটার। কিন্তু সঠিক উত্তর হবে ১২ বর্গ সেন্টিমিটার, যা উত্তরের জন্য দেওয়া চারটি অপশনের মধ্যে ছিল না।
অপর একটি প্রশ্নে লেখা হয় ‘ও’ রম্বসের পরিসীমা নিচের কোনটি?’ উত্তরের জন্য অপশন দেওয়া হয় (ক) ১২ বর্গ সেন্টিমিটার, (খ) ১২ বর্গ সেন্টিমিটার, (গ) ২০ বর্গ সেন্টিমিটার (ঘ) ২০ বর্গ সেন্টিমিটার। অথচ সঠিক উত্তর হবে (৪১৩ সেন্টিমিটার)। পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কক্ষ পরিদর্শকদের জানালে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে বোর্ড কর্মকর্তাদের চোখে ভুলটি ধরা পড়ায় সকল শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক ২ নম্বর দেয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সোমবার কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুল খালেক বলেন, এ ভুলের দায় বোর্ডের নয়, প্রশ্ন প্রণয়নকারীদের। তবে ভুল উত্তরের কারণে সকল পরীক্ষার্থীই ২ নম্বর পাবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ জানান, ২৫ ও ২৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে গরমিল রয়েছে। তবে এ জন্য পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, যারা উত্তরপত্র ভরাট করেছে তারাও নম্বর পাবে, যারা ভরাট করেনি তারাও নম্বর পাবে। পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়ার পরই আমাদের প্রশ্ন দেখার সুযোগ হয়, এর আগে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভায় সকল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে ভিন্ন বোর্ডের প্রশ্ন নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু তখন প্রশ্নে ভুল আছে কি না তা দেখার ক্ষমতা কোনো বোর্ডের হাতে থাকে না।
তিনি আরও বলেন, প্রশ্ন প্রণয়ন ও যাচাই বাছাই করার পর তা লটারির পর্যায়ে যায়, তাই এ ভুলের জন্য পরীক্ষা শেষে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করার পর ওই প্রশ্নের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।