আখাউড়ায় অন্যের প্রবেশপত্র দিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন এক ছাত্রী
---
আখাউড়া প্রতিনিধি : আখাউড়ায় এক ছাত্রী অন্যের প্রবেশপত্র দিয়ে জেএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন। সে আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। বুধবার আখাউড়া শহীদ স্মৃতি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৪ ঘন্টা পর মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকেরা ওই ছাত্রীকে ছাড়িয়ে নেয়। ওই ছাত্রী হলেন উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দূর্জয়নগর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার মেয়ে লুৎফা আক্তার।
জানাগেছে, নির্ধারিত পরীক্ষার্থীর চেয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি কক্ষে একজন পরীক্ষার্থী বেশি হয়। পরে বিষয়টি হল পরিদর্শক প্রবেশপত্র যাচাই করে দেখেন বৃষ্টি আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী এসেছে যে শুধুমাত্র গণিত বিষয়ের পরীক্ষার্থী। কিন্তু পরীক্ষা দিতে আসা ওই ছাত্রী দাবী করে সে সকল বিষয়ের পরীক্ষার্থী। এ নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে হল পরিদর্শক তাকে আটক করে হল সুপারের কক্ষে নিয়ে যায়। পরে হল সুপারের কাছে ওই ছাত্রী স্বীকার করে তার প্রকৃত নাম লুৎফা আক্তার। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বৃষ্টি আক্তার নামে পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছে। বিদ্যালয় থেকেই তাকে এই প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের হল সুপার মো. শাহ আলম বলেন, বৃষ্টি আক্তার নামের প্রবেশ পত্র নিয়ে আসা ছাত্রী প্রকৃত বৃষ্টি আক্তার নয়। প্রকৃত বৃষ্টি আক্তারের আজ পরীক্ষা নেই। সে শুধু গণিত বিষয়ের পরীক্ষা দিবে।
লূৎফা আক্তার জানায়, সে নাছরীন নবী স্কুলে ৮ম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে স্কুলের বেতনসহ যাবতীয় ফি ব্যাংকে রশিদের মাধ্যমে প্রদান করেছে। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার প্রকৃত নামে রেজিষ্ট্রেশন এবং ফরম পূরণ না করে বৃষ্টি আক্তার নামে তার ফরম পূরণ হয়েছে বলে জানায়।
নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক বলেন, লুৎফা আক্তার আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রী নয়। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, শিক্ষকের অসাবধানতার কারণে বৃষ্টির আক্তার প্রবেশপত্রটি লুৎফা আক্তারকে দেয়া হয়েছে।
লুৎফার মামা আবদুল কাদের বলেন, আমার ভাগনী একজন প্রকৃত পরীক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের ভুলের কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এর সঠিক বিচার না পেলে মামলা দায়ের করব।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের গাফিলতি পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।