g কেনেডি হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করতে চান ট্রাম্প | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বুধবার, ২৫শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ১০ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কেনেডি হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করতে চান ট্রাম্প

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ২২, ২০১৭
news-image

---

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যার রহস্য সংক্রান্ত গোপন নথি প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইটার বার্তায় এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশানাল আর্কাইভস এরইমধ্যে কেনেডির হত্যা সংক্রান্ত বেশিরভাগ নথি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এখনও যেসব তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে তা প্রকাশ করতে আগ্রহী ট্রাম্প।

১৯৬৩ সালে গুপ্তঘাতকের গুলিতে প্রাণ হারান তখনকার প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। জাতীয় আর্কাইভে ওই হত্যা সংক্রান্ত তিন হাজারের বেশি নথি আছে যা আগে কখনও প্রকাশ করা হয়নি। আর ৩০ হাজারের বেশি নথি আগে প্রকাশ করা হয়েছে তবে কাটছাঁট বা সম্পাদনা করে। এখনও গোপন রাখা নথিগুলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেবেন নাকি সেগুলো সম্পাদনা করে প্রকাশ করা হবে তা স্পষ্ট নয়।

১৯৯২ সালে মার্কিন কংগ্রেস রায় দিয়েছিল কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সব নথি ২৫ বছরের মধ্যে উন্মুক্ত করে দিতে হবে। তবে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নেন যে এসব নথি উন্মুক্ত করে দিলে তা জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে, তবে তিনি এগুলো উন্মুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কংগ্রেসের নির্দেশনা মেনে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশানাল আর্কাইভসের এই নথিপত্রগুলো চলতি বছরে উন্মুক্ত করার কথা রয়েছে।

তবে ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে এগুলোর গোপনীয়তা রক্ষার মেয়াদ আরও বাড়াতে পারেন। বিতর্কিত এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট তা করবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। টুইটে তিনি লিখেছেন, ”আরও কিছু তথ্য পাওয়ার পর, প্রেসিডেন্ট হিসাবে, আমি জন এফ কেনেডির মৃত্যু সংক্রান্ত ফাইলগুলো উন্মুক্ত করে দেবার অনুমতি দেব। ”

টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরে ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বরে এক রাজনৈতিক সফরে যান প্রেসিডেন্ট কেনেডি। তিনি যখন মোটরগাড়িতে করে যাচ্ছিলেন, সে সময় এক আততায়ী গুলি চালায়। গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কেনেডি আধা ঘণ্টা পরে হাসপাতালে মারা যান। ধারণা করা হয়, টেক্সাস স্কুল বুক ডিপোজিটরি নামের এক বহুতল গুদামখানা থেকে প্রেসিডেন্টের ওপরে হামলা চালানো হয়েছিল। ঘটনার দিনই গুদামখানার কর্মচারী লি হার্ভে অসওয়াল্ডকে সন্দেহভাজন আততায়ী হিসেবে আটক করা হয়। মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য অসওয়াল্ড কিছুই বলতে পারেনি। আটকের দুই দিন পর পুলিশি হেফাজতে সিটি জেল থেকে কাউন্টি জেলে নেয়ার সময় এক নাইটক্লাবের মালিক তাকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর থেকেই কেনেডি হত্যাকাণ্ড রহস্যে আবৃত হয়। সৃষ্টি হয় নানা ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। এক টুইটার বার্তায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেনেডি হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত বাদবাকি গোপন নথি প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে বিস্ফোরক সত্য লুকিয়ে থাকতে পারে। এখন প্রশ্ন, সেই গোপন নথিগুলো প্রকাশের মধ্য দিয়ে কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সত্য উন্মোচিত হবে কিনা।

জন এফ. কেনেডি ছিলেন ৩৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ১৯৬১ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। তার হত্যাকাণ্ডের পরপরই দায়িত্ব নেওয়া নতুন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন ওই হত্যাকাণ্ড তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেন যা অনানুষ্ঠানিকভাবে ওয়ারেন কমিশন নামে পরিচিত। ওই কমিশন ১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বরে ৮৮৮ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয় লি হারভি ওসওয়াল্ড নামের এক ব্যক্তি একাই এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন। তবে এই তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত হতে পারেননি বহু গবেষক। তাদের মতে, কেনেডি হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল গভীর ষড়যন্ত্র যা বাস্তবায়নে কেবল অংশ নিয়েছিলেন ওসওয়াল্ড।

১৯৯২ সালে মার্কিন কংগ্রেস রায় দিয়েছিল কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সব নথি ২৫ বছরের মধ্যে উন্মুক্ত করে দিতে হবে। তবে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নেন যে এসব নথি উন্মুক্ত করে দিলে তা জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে, তবে তিনি এগুলো উন্মুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কংগ্রেসের নির্দেশনা মেনে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশানাল আর্কাইভসের এই নথিপত্রগুলো চলতি মাসের ২৬ তারিখে উন্মুক্ত করার কথা রয়েছে। জাতীয় আর্কাইভে থাকা কেনেডি হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত ৩০ হাজারের বেশি নথি আগে প্রকাশ করা হয়েছে তবে কাটছাঁট বা সম্পাদনা করে। আরও তিন হাজারের বেশি নথি আছে যা আগে কখনও প্রকাশ করা হয়নি।

এখনও গোপন রাখা নথিগুলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেবেন নাকি সেগুলো সম্পাদনা করে প্রকাশ করা হবে তা জানা যায়নি। ট্রাম্প চাইলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে এগুলোর গোপনীয়তা রক্ষার মেয়াদ আরও বাড়াতে পারেন। বিতর্কিত এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট তা করবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। টুইটে তিনি লিখেছেন, ”আরও কিছু তথ্য পাওয়ার পর, প্রেসিডেন্ট হিসাবে, আমি জন এফ কেনেডির মৃত্যু সংক্রান্ত ফাইলগুলো উন্মুক্ত করে দেবার অনুমতি দেব। ” হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র লিন্ডসে ওয়াল্টার্স বলেছেন, ১৯৯২ সালের আইন মেনে কেনেডি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত যথাসম্ভব সর্বোচ্চ পরিমাণ দলিল প্রকাশ করা হবে। তবে পলিটিকো ম্যাগাজিন বলছে, ট্রাম্প সরকার কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য গোপন রাখতে পারে। পলিটিকোর দাবি, ১৯৯০’র দশকে তৈরি হওয়া এসব দলিলের ওই সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ পেলে তাতে বর্তমানে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর অভিযান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল প্রকাশ হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। তাই এই গোপনীয়তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়ার সেন্টার ফর পলিটিক্সের পরিচালক এবং কেনেডিকে নিয়ে একটি বইয়ের লেখক ল্যারি সাবাতো বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ”আমেরিকার মানুষ সত্য জানতে চায়, অন্তত তাদের এটুকু জানার অধিকার আছে যে আমেরিকার সরকার এত বছর ধরে মানুষের কাছ থেকে কী তথ্য লুকিয়ে রেখেছে আমেরিকানরা জানতে চায় উল্লেখ করেন সাবাতো।

এ জাতীয় আরও খবর