সরকার জোর করে সীমান্ত বন্ধ করবে না : সেতুমন্ত্রী
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার জোর করে সীমান্ত বন্ধ করবে না। যে পর্যন্ত জাতিসংঘ ও বিশ্বজনমতের চাপে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন বন্ধ না হবে। আজ রবিবার হোটেল রেডিসনের সামনে এয়ারপোর্ট সড়কে নিরাপত্তা ক্যাম্পেইন এবং বিআরটিএ পরিচালিত মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি কূটনৈতিক উদ্যাগের ব্যর্থতার যে কথা বলছে সে প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, যদি কূটনৈতিক উদ্যাগ ব্যর্থ হতো তাহলে মিয়ানমারের সুর নরম হলো কিভাবে। তাদের মন্ত্রী এসে যৌথভাবে কাজের সিদ্বান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, স্পটে ২২ দিন ছিলাম। রোহিঙ্গাদের জনস্রোত নিজে দেখেছি। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে আরো রোহিঙ্গা আসবে।
মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত। যাতে নতুন করে ইনফ্ল্যাক্স না হতে পারে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের ঢলের পেছনে চক্রান্ততো একটা আছে, সে চক্রান্তের স্বরূপটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব জনমত ও জাতিসংঘ ও কূটনৈতিক উদ্যাগের ফলে বাংলাদেশ সীমান্তে সামরিক হস্তক্ষেপ বন্ধ হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেকেই নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে যখন সীমান্তের দরজা খুলে দিয়েছি তখন কি এমন কারণ ঘটল যে মানবিক দৃষ্টিকোণের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। যতদিন পর্যন্ত জাতিসংঘসহ বিশ্বজনমতের চাপে রোহিঙ্গা নিধন বন্ধ না হবে, ততদিন বাংলাদেশের সীমানা বন্ধ হবে না।
মন্ত্রী বলেন, এটা মানবিক সমস্যা। যত দ্রুত সম্ভব তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয় ততই ভালো। এ জন্য প্রতিবেশী দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘকে জোর পদক্ষেপের আহ্বান জানান তিনি।
‘কারণ প্রতিবেশীর ঘরে যদি আগুন লাগে তাহলে অন্যান্য প্রতিবেশীর ঘরেও এ আগুনের আঁচ লাগবে,’ যোগ করেন সেতুমন্ত্রী।