মাঠে নেমেই রোনালদোর চমক
---
স্পোর্টস ডেস্ক : আধুনিক ফুটবলের দুই মহাতারকার পার্থক্য তাহলে এখানেই? একজন জাতীয় দলের ভার বইতে পারেন, সইতেও পারেন। একা হাতে টেনে নিতে পারেন দলকে। অন্যজন কখনো জাতীয় দলের জার্সিতে ছায়া হয়ে থাকেন, কখনো নিজে ভালো খেলেও সতীর্থদের বাজে পারফরম্যান্সের মাশুল দেন। গতকাল পর্তুগাল বনাম অ্যান্ডোরার ম্যাচে শুরু থেকে মাঠে ছিলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বদলি হিসেবে নেমেই পর্তুগালকে জিতিয়েছেন তিনিই। তবে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ এখনো নিশ্চিত হয়নি রোনালদোর দেশের।
খুব ভালো ফুটবল কাল পর্তুগাল খেলতে পারেনি। বরং থেকে থেকেই খেই হারিয়ে ফেলেছে। ফরোয়ার্ড আন্দ্রে সিলভার সামনে গোলে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে—তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। রিকার্ডো কোয়ারেজমার মতো মিডফিল্ডাররা আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন কিন্তু অ্যান্ডোরার গোলমুখ খুলতে পারেনি। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধ রোনালদো নামতেই ভোজবাজির মতো পাল্টে গেল সবকিছু। পর্তুগাল গোল পেল। রোনালদো চেনালেন নিজেকে।
৬৩ মিনিটে বক্সের মধ্য থেকে এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজের ১৫তম গোলটি করেন রোনালদো। পরে তাঁর সহায়তাতেই (ক্রসে) গোল করে পর্তুগালকে ২-০ গোলের জয় এনে দিয়েছেন সিলভা।
ম্যাচের শেষে আরটিপিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। ব্যাখ্যা দিয়েছেন দলের সেরা খেলোয়াড়টিকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখার, ‘আমি এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। শেষ দুই ম্যাচের আগে রোনালদো শতভাগ অনুশীলন করেনি। আরও বেশ কিছু ব্যাপার এখানে জড়িত। কিন্তু আমরা ম্যাচটা জিতেছি, এবং দিন শেষে সেটাই জরুরি।’
‘আরও ব্যাপার’ বলতে সান্তোস নিশ্চয়ই রোনালদোকে চোট বা কার্ডের ঝুঁকি থেকে বাঁচানোর কথাই বলতে চেয়েছেন। গ্রুপ ‘বি’ থেকে এখনো বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়নি কারওরই। ১১ অক্টোবর লিসবনে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে নির্ধারিত হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। হেরে যাওয়া দলের অবশ্য প্লে-অফ খেলার সুযোগ থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে দুই দলের।
ক্যারিয়ারজুড়েই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি এখনো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে কোনো শিরোপা জেতেননি। শিরোপা দূরে থাক, ২০১৮ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে যেতেই হিমশিম খাচ্ছে দল। শেষ ম্যাচের আগে রোনালদোর কাছ থেকে কিছু পরামর্শই নিতে পারেন মেসি। রোনালদোর জাদুতেই ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পর্তুগাল। সূত্র: গোল