নাসিরনগরে গাছ কেটে নেওয়া হল বিদ্যুতের খুঁটি
---
বিশেষ প্রতিনিধি : উপজেলা বন কর্মকর্তা বাধা অমান্য করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহল জোরপূর্বক সামাজিক বন বাগানের গাছ কর্তন করে বলে জানা গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও দাঙ্গা হাঙ্গামার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া-ভোলাউক সংযোগ সড়কে। সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ২০১১-১২ অর্থ বছরে উক্ত রাস্তার ৩ কিলোমিটার অংশের দুই দিকে তিন হাজার গাছ রোপন করে দ্বিতীয় বার সামাজিক বন বাগান সৃজন করে একটি সামাজিক সংগঠন।
বাগান সৃজনের পূর্বে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় রেজুলেশন শেষে স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা বন বিভাগ ও উপকারভোগীদের মাঝে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিনামার মাধ্যমে বাগানটি সৃজন করে সংগঠনটি। বর্তমানে বাগানের অবস্থা খুবই ভাল বলে জানা গেছে।
বাগানের সফলতা দেখে কিছু সংখ্যক বিএনপি দুষ্কৃতিকারী বাগানটিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করে। তারা উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাথে গোপন যোগসাজসে বাগানের উপর দিয়ে ৮টি বৈদ্যতিক খুঁটি স্থাপন করে বেশ কিছু গাছ কর্তন করে বৈদ্যতিক লাইন টেনে নেয়।
বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হবে বুঝতে পেরে ১৪ মে ২০১৭ উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম ও ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সংগঠনের সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুল হান্নান সাংবাদিক বাগানের ভিতর খুঁটি স্থাপন না করে খালি জায়গা দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নাসিরনগর এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তারা।
দুষ্কৃতিকারীরা উপজেলা বন কর্মকর্তা ও সংগঠনের সভাপতির লিখিত অভিযোগকে তোয়াক্কা না করে বাগানের গাছ কেটে বিদুৎ সংযোগ টেনে নেয়। পরবর্তীতে সংযোগটি চালু করা হলে অনেক গাছ কেটে ফেলতে হবে বলে জানা গেছে। এতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাবে আর উপকারভোগীরা তাদের প্রকৃত লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হবে বলে জানা গেছে।
পরবর্তীতে উপকারভোগীদের সদস্য ভোলাউক গ্রামের মোঃ আব্দুল জলিল বাদী হয়ে ৯ জন গংকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সরেজমিন তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন ভূইয়াকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
খুঁটিগুলো উত্তোলন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ না করা হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।