‘ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই’
---
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, “ঢাকসু, বাকসু সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তাদেরকেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। এখানে মন্ত্রনালয়ের কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই।
সিদ্ধান্ত নেবে সিন্ডিকেট। ”
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “দেশ স্বাধীন হবার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শায়ত্বশাসনের দাবীতে আন্দোলন করা হয়েছিল। পরে স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শায়ত্বশাসন দিয়েছিলেন। ফলে এখন আমাদের আর ক্ষমতা নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা উৎসাহ দিয়ে যাব। যদি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো নির্বাচনের সময় আমাদের কাছে সাহায্যে সহযোগিতা চায় আমরা তা দিব। ”
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, দেশ এখন সবদিক দিয়ে স্বয়ং সম্পুর্ণ। আমরা বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ঋণ চেয়েছিলাম পদ্মা সেতু তৈরীর জন্য। কিন্তু ভিক্ষা চাইনি। এখন তাদের অজুহাতে আমাদের পদ্মা সেতু থেমে নেই। বর্তমান সরকার নিজস্ব অর্থের মাধ্যমেই আজ পদ্মা সেতু তৈরী করছে যা আজ দৃশ্যমান।
উক্ত আলেচনা সভায় ভিসি প্রফেসর ড. মো: আলী আকবরের পৃষ্টপোষকতায় প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো: জসীমউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্জ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. সাত্তার মন্ডল, সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এমপি, কৃষিবিদ বদিউজ্জামন বাদশা এমপি প্রমুখ।
এর আগে ৫৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১৮ আগষ্ট হলেও শোকের মাস হওয়ার কারনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পিছিয়ে গতকাল ৭ অক্টোবর পালন করা হয়। এবারের শ্লোগান ছিল “শিক্ষা-গবেষণায় দেশের সেরা খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা দেবো মোরা”
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয ষাটের দশকে সবুজ বিপ্লবের ধারণাকে সামনে রেখে ১৯৬১ সনের ১৮ আগস্ট এক অধ্যাদেশের মধ্য দিয়ে এর অগ্রযাত্রা শুরু হয়। দেশের ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা পূরণে প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য অবর্ননীয়।
এমডি/মানিক