মফস্বলে প্রবীণরা কেমন আছেন
---
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ভাল নেই মফস্বলের প্রবীণরা। বর্তমান সমাজ ব্যবসায় খরচের বোঝা আর সংসার জীবনর অভাব-অনটন ও বয়সের বাড়ে রোগসুকে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা। আবার ভাগ্যক্রমে এদের অনেককে দেখবাল করছেন ছেলে-মেয়েরা আবার নিয়তির করাল গ্রাসে জীবনের সবটুকু যাদের নীচে ব্যয় করেছেন তাদেরকে মানুষ করতে কিন্তু তাদের অবহেলায় আর দেখবালের অভাবে এখন অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এসব প্রবীণরা। কথা হয় হাবিবুর রহমান নামে এক প্রবীণের সাথে বয়সের বাড় হয়েছে প্রায় ৮৩ বৎসরের মত। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে তার। কর্মজীবনে তিনি ব্যবসা-ব্যাণিজ্য করে জীবাকা নির্বাহ করতেন। বড় ছেলে প্রবাসে আর দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন অনেক আগে। ছেলে-মেয়েদের দেখবালের কারণে তার শেষ বয়সের মোটামুটি ভালই দিন কাটছে।
তিনি বলেন, ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথমে নামাজ পড়ি তারপর এককাপ চা দিয়ে দিনের শুরু হয়। তারপর শহরের কাচারি পুকুর পাড়ে এসে বসি পএিকার এজেন্ট রেকটো স্হলে। অনেক দিন মানে দীর্ঘ পনের বৎসর যাবৎত এখানে বসে সময় কাটায়। অনেক পএিকা মাঝে কয়েক বৎসর যাবৎত অর্থনীতি পএিকার টি পড়ি। সম্পাদক নাইমূল ইসলাম খান এর পএিকা, ছোট ছোট অনেক নিউজ থাকে পএিকাটিতে। তাই নিজে ও পড়ি অন্যদেরকে পড়ার জন্য উৎসাহিত করি।
এছাড়া কথা হয় রফিক ভূইয়া, শামসুল ইসলাম ও মফিজ চৌধুরী সাথে তারা বলেন, বেশি একটা ভাল যাচ্ছেনা দিনকাল। জীবনের শেষ বেলাতে ছেলে-মেয়েরা অনেকটাই বুঝা মনে করেন। তারা তাদের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত। জীবনের সর্বোচ্চ উপার্জন আর মূল্যবান সময় অতিবাহিত করেছি তাদের মানুষ করতে জানিনা কতটুকু করতে পেরেছি। তবে মনে হচ্ছে তাদের হাতপায়ে বড়ই করেছি ঠিকই কিন্তু সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারিনি। এসব প্রবীণদের মর্ধ্যেই অনেকই সরকারি কর্মচারী থাকাতে শেষ সময়ে পেনশন পাচ্ছে কিন্তু অনেকেই তা পাবার সুযোগ নেই। কেননা তানা কর্মজীবনে ব্যবসা ব্যাণিজ্য করে দিন কাটিয়েছেন । তাই অনেককেই বলেন, আমাদেরতো পেনশন নেই অনেকে নামে মাএ বয়স্কভাতা পায় তা আবার নূন্যতম, কয়েকমাস পরপর পাওয়া যায়, তাও সবাই পাইনা।তাই নিজেদের ছেলে-মেয়েরা মন চাইলে কিছু সময় সহযোগিতা করেন আবার কয়েকমাস খবরও নেননা।
অনেক প্রবীণদের শহর -গ্রামের রাস্তায় দেখা যায় কৃষিকাজ ও রিক্সা চালিয়ে শেষ বয়সের জীবাকি নির্বাহ করছেন। রিক্সা চালান এমন একজন প্রবীণ কুদ্দুস মিয়া বয়স ৭০মত তিনি বলেন, বাবা আমার চার ছেলে থেকেও আমি রিক্সা বাইয়ে জীবন চালাচ্ছি। আমার ভাগ্যের চাকা আর বদল হয়নি। রোগী মানুষ তাও গাড়ি চালাতে হচ্ছে।