রোহিঙ্গারা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি বলে এবার মত আরএসএস প্রধানের
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আর্জি জানালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী যোগ এবং মিয়ানমারে ক্রমাগত সহিংসতা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণেই সেদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের উৎখাত করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন ভাগবত।
শনিবার ভারতের নাগপুরে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত বাৎসরিক দশেরা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এইসব কথা বলেন আরএসএস প্রধান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সিনিয়র নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি প্রমুখ।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভাগবত বলেন, ‘আমরা এমনিতেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে সমস্যায় রয়েছি, এখন রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করেছে। রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দিয়ে আমাদের কর্মসংস্থানের ওপরেই চাপ তৈরি করবে না বরং আমাদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট হুমকির কারণ’।
আরএসএস প্রধান বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় নিরাপত্তার বিসয়টি মাথায় রাখা উচিত’।
রোঙ্গিাদের পক্ষে কথা বলায় পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘সস্তার রাজনীতির কারণেই তারা(ওই দুই রাজ্য সরকার) রাষ্ট্র বিরোধী শক্তিগুলোকে সহায়তার হাত বাড়াচ্ছে’।
ভারতজুড়ে তথাকথিত গোরক্ষকদের তান্ডবেরও কঠোর নিন্দা করেছেন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই নিন্দনীয় বিষয় যে গোরক্ষকদের হাতে মানুষের নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আবার একই সময়ে গরু পাচারকারীদের হাতেও মানুষকে খুন হতে হচ্ছে’।
উল্লেখ্য, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারেরও অভিমত জাতীয় নিরপত্তার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গারা যথেষ্ট হুমকি, তাদের সাথে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। আর এই আশঙ্কা প্রকাশ করে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সেকথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠোনা হবে। আইন মেনেই তাদের ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং’ও জানান, ‘রোহিঙ্গারা এদেশে শরণার্থী নয়, তারা মিয়ানমারের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। তাই তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে যে বিরোধিতা করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন’।