বাঞ্ছারামপুর বেহাল পৌর এলাকার রাস্তাঘাট : ভোগান্তিতে পৌরবাসী
---
ফয়সল আহমেদ খান , বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘বাঞ্ছারামপুর- নামে ‘গ’ শ্রেনীভূক্ত পৌরসভাটি রীতিমতো অকার্যকর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে স্থানীয় পৌরসভার জনগন অভিযোগ করেছেন।স্থানীয় এখানে কর্মরত বিভিন্ন এলাকার মানুষ ও স্থানীয় জনতা সহ ভোটারদের দাবী,‘বাঞ্ছারামপুর’ নামে মাত্র পৌরসভা,কাজে নেই।একটি পৌরসভার নূন্যতম সুযোগ সুবিধা এখানে নেই।বাঞ্ছারামপুর সদরের বাঞ্ছারামপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এবং এস.এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ একজোট হয়ে অভিযোগ করে জানান,-সামান্য বৃষ্টি হলে আমাদের স্কুলের সামনের ৫০ ফিট লম্বা ভাঙ্গাচুড়া রাস্তায় পানি জমে যায়।বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই।আমাদের পানির উপর দিয়ে স্কুলে আসতে হয়।’’
তবে আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার সামনে ১ শ ফিট পুরনো ড্রেন নতুন করে মেরামত ও ভরাট হয়ে যাওয়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার করা হচ্ছে বলে দেখা যায়।সেটি করাচ্ছেন পৌর কাউন্সিলর মো অহিদ মিয়ার উদ্যোগে।
বাঞ্ছারামপুর বাজারের অবস্থা তো আরো করুন।ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলে তরকারি পট্রির দিকটা নীচু হওয়ায় সেখানে নদীর মতো দেখা যায়।নেই ভালো পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা।
যানজটের আকার ভয়াবহ রুপ নিয়েছে।কলেজ-বাজার-উপজেলা রোডের তিন রাস্তার মোড় নিত্যদিন যানজটের কারনে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী,সাবেক সরকারি রাস্তা ও ৩ রাস্তার মোড়ের পূর্বেকার যে ব্রীজ ছিলো ( বর্তমানে দখল করে মার্কেট নির্মান করেছেন সফিক মাকেট ও মতিন মার্কেটর সংযোগ স্থল-এ) সেই ব্রীজ দখল করে ক্ষমতাসীনরা মার্কেট নির্মান প্রয়োজনে ভেঙ্গে এখান থেকে বিকল্প সড়ক তৈরী করলে যানজট আর থাকে না।সে সাথে বাবু মার্কেট ও আমেনা প্লাজার সংযোগ স্থলে সরকারি ৮ ফিট রাস্তা বের করা হোক।’
এসব বিষয়ে কথা বললে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বলেন,-‘এই বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল।উল্লেখিত দুটি স্থানে যদি সরকারি ব্রীজ বা রাস্তা ম্যাপে থাকে তবে তা বের করে বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করা হবে’।
পৌরসভার মেয়র খলিলুর রহমান টিপু মোল্লা বলেন-‘আমার ফান্ড শুন্য।তবে ডিসেম্বরের দিকে ফান্ড এলে কাজ ধরবো।’’