g এক দিনে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ১৪ জনের | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সোমবার, ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ১০ই আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

এক দিনে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ১৪ জনের

AmaderBrahmanbaria.COM
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭

---

নিউজ ডেস্ক : এক দিনেই পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে নারী শিশুসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে দিনাজপুরের চার উপজেলায় নয়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই, গাইবান্ধর সুন্দরগঞ্জে এক, নীলফামারীর ডিমলায় এক ও নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় এক জন করে মারা গেছেন।

শনিবার পৃথক সময়ে বজ্রপাতের এসব ঘটনা ঘটে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

দিনাজপুর: চার উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে চার নারীসহ নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বিরল উপজেলায় ছয় জন, চিরিরবন্দর, বোচাগঞ্জ ও খানসামা উপজেলায় একজন করে মারা গেছেন।

স্থানীয়রা জানান, বিরলে জমিতে কাজ করার সময় শনিবার দুপুর ২টার দিকে বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে জমির মাঠে বিশ্রাম নেয়ার খড়ের তৈরি ছোট একটি কুঁড়ে ঘরে আশ্রয় নেন ১২ কৃষি শ্রমিক। এসময় বজ্রপাত ঘটলে ঘরটি আগুন পুড়ে যায়। এতে ঘরে থাকা দুই নারীসহ পাঁচ শ্রমিক মারা যান। মৃতরা হলেন, দিনাজপুরের সদর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মেসের আলী (৩৬), একই এলাকার মৃত মোস্তাক আহমেদের ছেলে শুকুউদ্দিন (৪০), বিরল উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর এলাকার মৃত হরিপদ রায়ের ছেলে কুশন চন্দ্র রায় (১৭) ও তার বড় বোন বনিতা রায় (৩০) এবং একই এলাকার মুক্তি রানী রায় ((৪৭)।

এসময় আহত হন শুকুমার রায়, মল্লিক রায়, জ্যোৎস্না রানী, বলিরাম সাইদুল এবং ললিত। তাদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

একই উপজেলার মখলেসপুর জয়হার গ্রামে নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে সাকিবুল হাসান সোহাত (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে ওই এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে। দুপুরে নদীতে মাছ ধরার সময় এই ঘটনা ঘটে।

একই দিন ভোরে বৃষ্টি শুরু হলে গরু রক্ষা করার সময় চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতালা ইউনিয়নের চকরামপুর গ্রামে বজ্রপাতে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী হালিমা বেগম প্রাণ হারান।

বিরল থানার ওসি আব্দুল মজিদ ও চিরিরবন্দর থানার ওসি হারেকুল ইসলাম বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বোচাগঞ্জে বজ্রপাতে গীতা রানী (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গীতা রানী উপজেলার মালতগাঁও এলাকার নারায়ন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।

বোচাগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, দুপুরে স্বামী ও স্ত্রী মিলে মাঠে মাছ ধরছিল। এ সময় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই গীতা রানী রায় মারা যান।

এছাড়া জেলার খানসামা উপজেলার কাশিমনগর এলাকায় বজ্রপাতে দ্বীনবন্ধু রায় (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বীনবন্ধু ওই এলাকার সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে। এলাকাবাসী জানান, সকালে গরু নিয়ে মাঠে যাবার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে তিনি মারা যান।

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ): উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের ঘিপুরা গ্রামের তাজউদ্দিনে ছেলে সুজাত মিয়া স্কুলে যাওয়ার পথে বাড়ির নিকটে বজ্রপাতে মারা যায়। সে আটপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র ছিল। অন্যদিকে ওই ইউনিয়নের কামালখাল গ্রামের মৃত হাকিম উল্লার ছেলে আবদুল হামিদ সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় হাওরে চাঁই দিয়ে মাছ ধরার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ দু’জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন কলকলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাসিম।

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : শনিবার দুপুরে উপজেলা শ্রীপুর ইউনিয়নে জাকির হোসেন নামে এক যুবক ধর্মপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বোয়ালী এলাকায় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত জাকির বোয়ালী গ্রামের রাজু মিয়ার ছেলে।

সৈয়দপুর (নীলফামারী) : ডিমলায় বজ্রপাতে গোলজার হোসেন (৩৪) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশে খালে মাছ ধরার জন্য গত রাতে জাল পেতেছিলেন গোলজার। সকালে জাল তুলতে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

নওগাঁ: শনিবার বিকেলে রানীনগর উপজেলার গহেলাপুর গ্রামের ফসলের মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে সলিম উদ্দিন আকন্দ(৭০) নামে এক কৃষক মারা যান। তিনি উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের গহেলাপুর আকন্দপাড়া গ্রামের মৃত কেসমত আলী আকন্দের ছেলে।

এমডি/মানিক

এ জাতীয় আরও খবর