১৭ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে
---
গত কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের কয়েকটি নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ১৭টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রোববার দুপুরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, এ সময় ২০টি পয়েন্টে ৫০ মিলি মিটারের ওপর বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ৯০টি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ৭৭টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, হ্রাস পেয়েছে ১২টি এবং দুটি পয়েন্টের পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। একটি পয়েন্টের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে নদ-নদীর পরিস্থিতি সম্পর্কে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীরণ কেন্দ্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, পদ্মা-গঙ্গা এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এর মধ্যে ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্ট দিয়ে পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপরে; ব্রহ্মপুত্রে চিলমারিতে ২৫ সেন্টিমিটার; যমুনার বাহাদুরবাদে ৬৪ সেন্টিমিন্টার; সারিয়াকান্দিতে ৪৩ সেন্টিমিটার; টাঙ্গনে ৮১ সেন্টিমিটার; আত্রাইয়ের ভুবনেশ্বরে ৭৩ সেন্টিমিটার; পুনর্ভবার দিনাজপুরে ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া সুরমার কানাইঘাটে পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জে ৮১ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার শেওলায় ৬৪ সেন্টিমিটার, খোয়াইয়ের হবিগঞ্জ পয়েন্টে ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় লরেরগড়ে ২০০ মিলিমিটার, দিনাজপুরে ১৯৮ দশমিক ৭ মিলিমিটার, দুর্গাপুরে ১৮৮ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১৭৮ মিলিমিটার এবং পঞ্চগড়ে ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।