হালকা শরীরচর্চাই মুক্তি দেবে আর্থারাইটিস থেকে
---
লাইফস্টাইল ডেস্ক : শুধু মানসিক নয় বা শারীরিক তৃপ্তি নয়, সৌন্দর্যের জেল্লা বাড়াতেও জরুরি সেক্স৷কোনও আকাশকুসুম কল্পনা নয়, সত্যি সত্যি এবং সত্যি৷এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের৷ এর পিছনে তাঁরা খাড়া করিয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু যুক্তিও৷ কীভাবে, আসুন তা জেনে নিই-
১) আমাদের চুল এবং ত্বক ভালো রাখার জন্য ইস্ট্রোজেন হরমোন দায়ী৷ আর যত বেশি সেক্স করা যায়, ততই মহিলাদের শরীরে বেশি করে উৎপন্ন হয় ইস্ট্রোজেন হরমোন৷ ফলে চেহারাতেও থাকে ফাটাফাটি জেল্লা৷ এছাড়াও সহবাসের ফলে উৎপন্ন কোলাজেন হরমোনও ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে৷
২) গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা সপ্তাহে দু-তিনদিন নিয়মমাফিক যৌনসম্পর্ক করেন, তাদের চেহারায় তারুণ্য বজায় থাকে, অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি৷ কারণ তারা মানসিকভাবে বেশি সুখী হন৷
৩) যৌনসুখের চরম সীমায় পৌঁছে আমাদের শরীর থেকে নিঃসৃত হয় সেরাটোনিন, যা আমাদের মুড নিয়ন্ত্রণ করে৷ আমাদের হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছ্বল রাখতেও এই নিউরোট্রান্সমিটারটি দায়ী৷ ফলে আমাদের মনে অবসাদ গ্রাস করতে পারে না৷ চেহারাতেও থাকে এক ধরনের ফ্রেশ, ফুরফুরে লুক৷
৪) কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের মতে, বক্ষদেশের সৌন্দর্য বাড়াতেও সেক্স অপরিহার্য৷
৫) সহবাসে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে অক্সিটোসিন নির্গত হয়, আর অক্সিটোসিন আমাদের শরীরের কোর্টিসেল নামক প্রধান স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে৷তাই আক্ষরিকই যাঁরা নিয়মিত সহবাসের মধ্যে থাকেন, তাদের জীবনেও থাকে অপার শান্তি৷
৬) সফল সহবাসের সময় আমাদের শরীর থেকে এমন কিছু কেমিকেল বেরায় যা আমাদের মনটাকে ভালো রাখতে খুব ফলপ্রসূ৷যেমন ডোপেমিন, আপনাকে সবসময় উজ্জীবীত রাখে, সব কাজে জোগায় বাড়তি উৎসাহ৷পুরষদের শরীর থেকে বেরোনো টেস্টাস্টেরন কাজে নিয়ে আসে অতিরিক্ত উদ্দীপনা৷এন্ডোরফিন আপনার স্ট্রেস কমিয়ে আপনাকে রাখে রিল্যাক্সড৷মানে এক একবারের সহবাসে আপনি উপকৃত হবেন এতভাবে৷ ভাবা যায়!
৭) সেক্সের ফলে হার্টের কার্যকারিতা ও শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে৷ একবারের সেক্সে প্রায় ৫০০ ক্যালোরির কাছাকাছি এনার্জি করচ হয়৷ ফলে খুব কম সময়েই আপনার শরীর থেকে অল্প অল্প করে ঝরতে থাকে মেদ৷সুতরাং বলাই যায় নিয়মিত যোগা বা জিম সেন্টারে গিয়ে টাকা খরচ করার তুলনায় বাড়িতেই বজায় রাখুন আপনার স্বাভাবিক যৌন জীবন৷
৮) স্বাভাবিক এবং নিয়মিত যৌনজীবনে আমাদের মধ্যে বাড়ে আত্মবিশ্বাসও, মন থাকবে শান্ত ও ফোকাসড৷ বাড়বে আপনার সৃজনশীলতাও৷ ফলে আক্ষরিকই বিকাশ হবে আপনার অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যের৷ আপনিও হয়ে উঠবে একেবারে অন্য ব্যক্তিত্ব৷