গার্লফ্রেন্ড বালিশ!
---
গার্লফ্রেন্ডের নরম কোলে মাথা রেখে ঘুমানোর ভার্চুয়াল তৃপ্তি পেতে জাপানিরা গার্লফ্রেন্ড পিলো বা বালিশের প্রচলন ঘটিয়েছিল। হালে এই বালিশের পালে জনপ্রিয়তার হাওয়া লেগেছে বেশ জোরে।
এটা তুলা বা পালক ভরা বালিশ নয়। পলিইউরোথিন দিয়ে তৈরি এক ধরনের হালকা কুশন। ২০০৫ সালে জাপানের ট্রান করপোরোশন এই বালিশ প্রথম বাজারজাত করে।
বলা হয়েছিল, যারা কুমার বা একাকী থাকেন তাদের জন্য এই বালিশ আদর্শ বিবেচিত হতে পারে। কিন্তু হালে দেখা যাচ্ছে, বিবাহিতই বলুন আর অবিবাহিতই বলুন, জাপানিরা গার্লফ্রেন্ড বালিশে অভ্যস্থ হয়ে গেছে। জাপান ট্রেন্ড শপ আর আমাজন শপে অনলাইনে এই বালিশের কাটতি অবিশ্বাস্য।
জাপানিরা এখন বন্ধুকে নানা উৎসবে উপহার হিসেবে গার্লফ্রেন্ড বালিশ উপহার দিয়ে ধন্য হয় এবং তৃপ্তি পায়।
এটা ঠিক যে, মানব জীবনের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বালিশ একটি অতি প্রয়োজনীয় অথচ স্বল্প আলোচিত উপাদান, যা সাধারণত ঘুমানোর সময় মাথায় সাপোর্ট দিতে ব্যবহৃত হয়। অবশ্য অলঙ্করণময় বালিশ কমফোর্ট বা সাপোর্টের জন্য নয়, ঘরের ভেতরের শোভা বাড়ানোই এটার উদ্দেশ্য। কিন্তু স্বস্তিদায়ক ঘুম পেতে হলে যে বালিশ চাই।
কিন্তু গার্লফ্রেন্ড বালিশ আবিষ্কারের পর জাপানিরা প্রমাণ করলো বালিশের উপিযোগিতা মানবজীবনে ধারণার চেয়ে একটু বেশি।
ধারণা করা হয়, সভ্যতার ঊষালগ্নেই বালিশের প্রয়োজনীয়তা মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছিল। প্রাচীন বালিশ সাধারণত খড় বা পাথর দিয়ে তৈরি হতো। এটা অস্বস্তিকর হলেও মানুষ দীর্ঘকাল তা-ই ব্যবহার করেছে। বর্তমানে খড় বা পাথরের বালিশ আর নেই। তুলার তৈরি বালিশের প্রাধান্য এখন বেশি।
অবশ্য আর্থিক সঙ্গতিপন্নরা পাখির গরম পালক বা রোম দিয়ে তৈরি বালিশ ব্যবহার করেন। কৃত্রিম আঁশের তৈরি বালিশের প্রচলনও বেড়ে গেছে। তবে সবাইকে ছাপিয়ে উঠেছে গার্লফ্রেন্ড বালিশ। এখানেই শেষ নয়, হাতের আলতো ছোয়ায় গার্লফ্রেন্ড বালিশ কথাও বলে প্রেয়সীর আবেগে।