ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী ডায়েট!
---
লাইফস্টাইল ডেস্ক :আপনি কি কলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে চান? তাহলে অবশ্যই আজ থেকেই আপনার ডায়েটে ফল এবং মাছ রাখুন। সম্প্রতি একটি তথ্যে জানা গিয়েছে যে, যদি নিজেকে সফট ড্রিঙ্কের থেকে দূরে রাখা যায়, তাহলে কলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি ৮৬ শতাংশ কমে যায়।
কোলন ও রেক্টামের ক্যানসারকে একসঙ্গে কলোরেক্টাল ক্যানসার বলে। উন্নত দেশে এ রোগ তৃতীয় প্রধান ক্যানসার এবং ক্যানসারজনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। কলোরেক্টাল ক্যানসার সাধারণত বয়স্কদের হয়। বয়স ৫০ বছর পেরোলে এ রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। বেশির ভাগ রোগীর ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার বেশ কয়েক বছর আগে থেকে কোলনে পলিপ গজিয়ে থাকে। পরবর্তী সময়ে তা ক্যানসার হয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের এ ধরনের পলিপ থেকে কোলন ক্যানসার হয়ে থাকে। পুরুষদের পলিপ বেশি হওয়ায় ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিও বেশি।
কলোরেক্টাল ক্যানসার অন্ত্রের পলিপসের থেকে বৃদ্ধি পায়, যা সাধারণত লো ফাইবার ডায়েট, রেড মিট , অ্যালকোহল , হাই ক্যালোরি খাবারের থেকে হয়ে থাকে। ইজরায়েলের তেল আভিভ মেডিক্যাল সেন্টারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে, যে সমস্ত ব্যক্তি দিনে ৩ বার স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে কলোরেক্টাল ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা ৮৬ শতাংশ কম হয়ে যায়। এই ধরণের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে ডায়েটে প্রচুর পরিমানে টাটকা ফল এবং মাছ রাখা প্রয়োজন। এবং অ্যালকোহল, রেড মিট , সফট ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
কলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যা করলে-
* প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে ঝুঁকি কমে ১৫-৩০ শতাংশ।
* প্রতিদিন ১০০-২০০ গ্রাম ফল ও শাকসবজি কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে ১০ শতাংশ।
* ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে ২২ শতাংশ।
* প্রতিদিন মাছ খেলে কলোনি ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
* ঝুঁকি কমায় ভিটামিন বি, খনিজ লবণ, সেলেনিয়াম, ফলেট, জিংকসমৃদ্ধ খাবার।
কলোরেক্টাল ক্যানসারের প্রধান চিকিৎসা অপারেশন বা শল্য চিকিৎসা। কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি সহায়ক চিকিৎসা। তবে সফল চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত চিকিৎসার সফল প্রয়োগ।