১৭ বছর পর গল মাঠে ফিরছে ওডিআই ক্রিকেট
---
স্পোর্টস ডেস্ক : দীর্ঘ ১৭ বছর পর শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ দিয়ে আবারো গল-এর মাঠে ফিরছে ওয়ানডে ক্রিকেট। শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দু’টিই অনুষ্ঠিত হবে এখানে। ২০০০ সালের ৬ জুলাই এ মাঠে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পাশাপাশি ১৯৯৮ সালের পর আবারো শ্রীলঙ্কার মাটিতে দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে আগামীকাল সকাল সাড়ে দশটায়।
ৎ১৯৯৮ সালের পর দু’বার শ্রীলঙ্কায় এসেছিলো জিম্বাবুয়ে। ২০০১ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ২০১১ সালে আইসিসি বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ খেলছিলো তারা। তাই এবারের সফরটি জিম্বাবুয়ের জন্য স্মরনীয় বটে। স্মরনীয় করার সুযোগ থাকছে শ্রীলঙ্কার সামনেও। কারন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গল-এ আবারো ওয়ানডে খেলতে নামছে লঙ্কানরা।
তবে সম্প্রতি সময়ে কিছুটা এলোমেলো শ্রীলঙ্কা। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় তারা। দলের এমন বাজে পারফরমেন্সের কারনে কোচের পদ থেকে নিজেই অব্যাহতি দেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রাহাম ফোর্ড। অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগেই কোচ পেয়ে গেছে লঙ্কানরা। অর্ন্তবর্তীকালিন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব নিয়েছেন শ্রীলঙ্কারই ফিল্ডিং কোচ নিক পোথাস।
তবে এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। মাঠের খেলাতেই বেশি মনোযোগি হতে চান তিনি, ‘এগুলো ভাবার বিষয় নয়। এসব ব্যাপার মাঠের বাইরের বিষয়। ফোর্ড দারুন কোচ ছিলেন। তার চলে যাওয়াটা দুঃখজনক। কিন্তু আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই এবং এই মুহর্তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ নিয়েই ভাবতে চাই। এ সিরিজ নিয়েই আমরা এখন বেশি চিন্তিত। সিরিজে ভালো খেলার জন্য গত কয়েকদিন আমরা বেশ পরিশ্রম করেছি এবং ভালো ফল পেতে উদগ্রীব।’
জিম্বাবুয়ের জন্যও এই সিরিজটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন। গেল ফেব্রুয়ারিতে দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের কাছে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে হারে তারা। এরপর চলতি মাসে স্কটল্যান্ডে গিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করে জিম্বাবুয়ে। তাই আগামী বিশ্বকাপের জন্য বাছাই পর্বের কথা মাথায় রেখে, এই সিরিজ দিয়েই নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে চায় তারা। এমনটাই জানালেন দলের কোচ হিথ স্ট্রিক, ‘আমাদের ক্রিকেটে অনেক সমস্যা আছে। তারপরও দেশের জন্য আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। সামনে আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিয়েই ঐ চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেদের তৈরি করতে চাই আমরা। দলের সকলের সাথে আমি আলাদা-আলাদা বসেছি। আমরা একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই এবং আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে চাই। এজন্য সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে এবং ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে হবে।’
এই সিরিজ নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনায় মত্ত জিম্বাবুয়ে। ভবিষ্যতে নিয়ে ভাবছে শ্রীলঙ্কাও, তবে র্যাংকিং নিয়ে। জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিততে পারলেই পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে ষষ্ঠস্থানে উঠে যাবে তারা। ফলে পাকিস্তান সপ্তম ও বাংলাদেশ অষ্টমস্থানে নেমে যাবে। তাই এই সিরিজের সাথে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ভাগ্যও জড়িত। বর্তমানে ৯৩ রেটিং নিয়ে অষ্টমস্থানে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তান ৯৫ রেটিং নিয়ে ষষ্ঠ ও বাংলাদেশ ৯৪ রেটিং নিয়ে সপ্তমস্থানে রয়েছে। ৪৬ রেটিং নিয়ে জিম্বাবুয়ে রয়েছে এগারতমস্থানে।
শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড (সম্ভাব্য): অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (অধিনায়ক), উপুল থারাঙ্গা, নিরোশান ডিকভেলা, ভানিদু হাসারাঙ্গা, লাকশান সান্দাকান, দানুশকা গুনাথিলাকা, কুসল মেন্ডিস, আসেলা গুনারতেœ, আকিলা দনঞ্জয়া, নুয়ান প্রদিপ, লাসিথ মালিঙ্গা, দুশমন্থ চামিরা ও লাহিরু মাদুশানাকা।
জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড (সম্ভাব্য): সলোমন মির, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, গ্রায়েম ক্রেমার (অধিনায়ক), ক্রেইগ আরভিন, সিন উইলিয়ামস, পিটার মুর (উইকেটরক্ষক), সিকান্দার রাজা, টেন্ডাই চাতারা, ক্রিস এমপফু, ডোনাল্ড তিরিপানো, রিচার্ড এনগারাভা, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ম্যালকম ওয়ালার, চামু চিবাবা, টারিসাই মুসাকান্দা। বাসস।