মহাসড়কে চরম ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষ
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তির যেন অন্ত নেই। রাজধানী থেকে বের হওয়ার পর অধিকাংশ মহাসড়কে ভোর থেকেই যানজট লেগেই রয়েছে। এতে চরম মহাভোগান্তিতে পড়েছে ঘরমুখো মানুষ। যানজটের পাশাপাশি কোনো কোনো এলাকায় বৃষ্টি যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
আগাম ভারি বর্ষণে রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বেশির ভাগ জেলায় হঠাৎ দুর্যোগ নেমে এসেছে। সড়ক-মহাসড়কে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। খানাখন্দময় সড়ক ও মহাসড়কে পানি জমে থেকে বিটুমিন উঠে যাচ্ছে। গাড়ি চলতে গিয়ে কোথাও বিকল হচ্ছে, কোথাও উল্টে পড়ছে। প্রাণ যাচ্ছে মানুষের।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট লেগেই আছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সৃষ্ট যানজট বেলা বাড়ার সঙ্গে দীর্ঘ হয় ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, টঙ্গী-ঘোড়াশাল-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা বাইপাস সড়কে। টঙ্গী থেকে চান্দনা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পথ যেতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগছে জানিয়ে ঢাকা পরিবহনের চালক বাবুল হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতার জন্য রুট পরিবর্তন করে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
গাজীপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, টানা ভারি বর্ষণে গাজীপুরের চার সড়ক-মহাসড়কে পানি জমে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় গতকাল। যানজটে আটকে পড়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে যাত্রী ও পরিবহন চালক-শ্রমিকরা। সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, টঙ্গী-ঘোড়াশাল-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ঢাকা বাইপাস সড়কের কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা গেছে, সড়ক-মহাসড়কে থমকে আছে বাস, ট্রাক, যানবাহন, কাভার্ড ভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন।
চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ভোগড়া বাইপাস মোড় পর্যন্ত গিয়ে দেখা গেছে পুরো সড়ক পানিতে তলিয়ে আছে। সড়কের কোথাও হাঁটুপানি কোথাও বা কোমর পানি। পানির কারণে চলতে না পেরে যানবাহন ঢাকা ও ময়মনসিংহ উভয় দিকগামী যানবাহনগুলো অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সারি সারি বিভিন্ন প্রকার যানবাহন আটকে আছে। যানজটের প্রভাব পড়ে ঢাকা বাইপাস ও টঙ্গী-ঘোড়াশাল-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে।