মঙ্গলবার, ২০শে জুন, ২০১৭ ইং ৬ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

আগুনের ঘটনায় লন্ডনজুড়ে বিক্ষোভ

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ১৭, ২০১৭
news-image

---

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে শহরের বিভিন্ন স্থানে। কেনসিংটন এবং চেলসা টাউন হলে হামলা চালিয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জন বিক্ষোভকারী। ‘এই মুহূর্তে’ গৃহহীনদের সহায়তা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে যেখানে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, সেখানে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটেও হয়েছে প্রতিবাদ।

এদিকে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে। ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার, কাপড় এবং জরুরি সহায়তার জন্য ইতিমধ্যে ৫০ লাখ পাউন্ড বরাদ্দ দিয়েছেন মে।

বিবিসি জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজের সংখ্যা ৭০ জন হতে পারে। এদের মধ্যে নিহত ৩০ জনও রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আগুন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে লাগিয়েছে কি না- সে ব্যাপারে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।

এক সময় শত শত লোকের বাসভবন গ্রেনফেল টাওয়ারকে এখন বলা যায় একটি ‘কয়লার স্তূপ’। এখনও ধোঁয়া বের হচ্ছে। বিলাপ করছেন নিখোঁজদের প্রতিবেশীরা। ইতিমধ্যে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কীভাবে গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হলো আর কীভাবেই বা তা এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। সত্তরের দশকে নির্মিত ওই ভবনে বাস করতো প্রায় ৫০০ মানুষ। এর মধ্যে এখনও নিখোঁজ আছে কয়েক ডজন।
এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলাতে পারছেন না স্থানীয়রা- কীভাবে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের ডেপুটি অ্যাসিটেন্ট কমিশনার ওয়ায়েন ব্রাউন বলেন, ২৫ বছরের চাকরি জীবনে তিনি যেমন এত ভয়াবগ অগ্নিকাণ্ড দেখেননি। তেমনি এত দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তেও দেখেননি।

ভবনটিতে যখন আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে, তখন সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই ঘুমাচ্ছিলেন। গ্রেনফেল টাওয়ারে মোট ফ্ল্যাট সংখ্যা ১২০। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ইউরোপের বড় ভবনগুলোতে সাধারণত উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। আগুনের মতো ঘটনা ঘটলে কীভাবে দ্রুত বেরিয় আসা যায়, তারও কার্যকর ব্যবস্থা থাকে। তবে গ্রেনফেল টাওয়ারে কিছুই কাজ করেনি।

এ জাতীয় আরও খবর