চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে আরো দুইজনের লাশ উদ্ধার
---
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড় ধসে নিখোঁজ হওয়া আরো দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড়ধসে মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তবে সেখানে এখনো দুইজন নিখোঁজ আছে বলে জানা যায়। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামে পাহাড়ধস, দেয়ালধস ও বজ্রপাতে চন্দনাইশে চারজন, রাউজানে দুইজন, বাঁশাখালীতে একজন, নগরীর হালিশহরে একজন এবং বাকলিয়ায় বজ্রপাতে একজন মারা যান।
রাঙ্গুনিয়ায় নিহতদের মধ্যে ১৯ জনের পরিচয় পাওয়া যায়। তারা হলেন, উপজেলার রাজানগরের নজরুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আসমা আক্তার (৩৫), ছেলে নানাইয়া (১৫), মেয়ে সাফিয়া আক্তার (৯), একই এলাকার মো. ইসমাইল (৩৭), তার স্ত্রী মনিরা আক্তার (২৬), দুই মেয়ে ইভা (৮) ও ইছা (৪)। তাছাড়া একই উপজেলার ইসলামপুরের মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে সুজন (৪২), তার স্ত্রী মুন্নি (৩১), মেয়ে জোসনা (১৮), শাহানু (১৬) ও ফালুমা (১৪) নিহত হয়েছেন। একই এলাকার মফিজুর রহমানের মেয়ে মুনমুন আক্তার, হেজু মিয়ার স্ত্রী শেফালী বেগম, বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. পারভেজ, মো. হানিফের ছেলে মো. হোসেন, সিদ্দিকের স্ত্রী রিজিয়া বেগম, মফিজের ছেলে হিরু মিয়া নিহত হন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, উপজেলার ইসলামপুর ও রাজানগর এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় গতকাল দুই জনসহ মোট ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও দুজন নিখোঁজ। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, পাহাড় ও দেয়ালধসে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আহতদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা করে।
যান চলাচল বন্ধ চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে
চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের মানিকছড়িতে ধসের কারণে এখনও স্বাভাবিক হয়নি এ পথের যান চলাচল। তবে চট্টগ্রামের সঙ্গে বন্ধ হওয়া বান্দরবান ও কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। সড়কে জমা পানি নেমে যাওয়ায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে বান্দরবান ও কক্সবাজারের পথে যান চলাচল শুরু হয়।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, রাঙামাটির সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। কারণ ঘাগরার কয়েকটি রাস্তা এখনো বেহাল আছে। তা ছাড়া মানিকছড়ি শালবাগান সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ধসে গেছে। সড়কের ওপর জমে থাকা মাটি সরাতে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন উদ্ধারকারী সংস্থা কাজ করছে। তবে রাঙামাটি সড়কের রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া এলাকার মূল সড়ক থেকে পানি নেমে যায়।
এদিকে, কক্সাবাজার ও বান্দরবান সড়করে পটিয়া, চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া এলাকার মূল সড়কের ওপর থেকে পানি নেমে যায়।
হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ বলেন, বান্দরবান ও কক্সবাজারের সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সকালে সুয়াকল এলাকায় কিছু পানি থাকলেও তা সরে যায়।