মঙ্গলবার, ১১ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২৭শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

এক সপ্তাহে জামিন পেলেন শিক্ষক শ্যামল কান্তি

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৩১, ২০১৭
news-image

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘুষের মামলায় কারাগারে যাওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় জামিন পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত। নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন বুধবার তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। আদেশের পর শ্যামলের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, আদালত আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কান ধরে ওঠবস করানোর ঘটনায় সংবাদ শিরোনাম হওয়া এই শিক্ষককে তারই এক সহকর্মীর করা ঘুষের মামলায় গত ২৪ মে কারাগারে পাঠান আদালত। পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে নারাণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্ত সে দিন শ্যামলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিকালে একই বিচারক জামিন নাকচ করে শ্যামলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসা শ্যামল কান্তি ভক্ত এ দিন আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, তাকে চাপে রাখতে প্রভাবশালী এক ব্যক্তির নির্দেশে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ওই মামলা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যাণদীতে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে গত বছরের ১৩ মে তারই স্কুলে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে শারীরিক নির্যাতন ও কান ধরে ওঠবস করানোর ঘটনা ঘটে স্থানীয় এমপির নির্দেশে। এরপর ২৭ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, এক ছাত্রকে মারধর এবং এক শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে তিনটি মামলার আবেদন নারায়ণগঞ্জের আদালতে জমা পড়ে।

প্রাথমিক শুনানি করে আদালত প্রথম দুটি মামলার আবেদন খারিজ করে দিলেও ঘুষের অভিযোগের বিষয়টি বন্দর থানা পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। এ মামলার বাদী পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের অভিযোগ, চাকরি এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার কথা বলে ২০১৪ সালে তার কছে থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েও প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি তা করে দেননি। তদন্ত শেষে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ গত ১৭ এপ্রিল শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২৪ মে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর শ্যামল কান্তি আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, যে সময় ঘুষ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে তখন শীতকালীন বন্ধ ছিল। আমাকে হয়রানি করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে। পুলিশ আগে থেকেই প্রভাবশালী ওই ব্যক্তির পক্ষে কাজ করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিকে খুশি করার জন্যই পুলিশ এ ধরনের প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

এ জাতীয় আরও খবর