দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ছাড়িয়েছে
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারি দেশের জনসংখ্যা হয়েছে ১৬ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার।
সোমবার বিকেলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে এখন পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১০ লাখ। নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৭ লাখ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১২টি নমুনা এলাকায় ২০১৬ সালে মোট ২২ লাখ ৮৭২টি খানা ছিল। ২০১২ সালে লিঙ্গানুপাত ছিল ১০৪ দশমিক ৯, যা ২০১৬ সালে হয়েছে ১০০ দশমিক ৩। ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ জনসংখ্যার বয়স ১৫ বছরের নীচে। ২০১২ সালে খানা গড় সদস্য সংখ্যা ছিল ৪ দশমিক ৫ এবং ২০১৬ সালে যা ছিল ৪ দশমিক ৩।
বাংলাদেশের নারীরা এখনও উচ্চমাত্রায় পুরুষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের শতকরা ৮৭ দশমিক ২ ভাগ খানার প্রধান হচ্ছে পুরুষ। আর ১২ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের প্রধান নারী।
২০১২ সালের তুলনায় ২০১৬ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত বেড়েছে বয়স্ক শিক্ষার (১৫ বছরের বেশি) হার। ২০১১ সালে বয়স্ক শিক্ষার হার ছিল ৫৫ দশমিক ৮ ভাগ। ২০১৬ সালে এসে এই হার দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৩ ভাগ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্ট্যাটিসটিক অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘একটি দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় সঠিক তথ্য না থাকলে পিছিয়ে পড়তে হয়, এজন্য উন্নয়নের জন্য সঠিক তথ্যের প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে, তবে অতীতের চেয়ে অনেকাংশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়েছে।
সচিব বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য পরিসংখ্যান জরুরি। জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, মাইগ্রেশন ও প্রতিবন্ধীদের সঠিক পরিসংখ্যান জরুরি। আস্থামূলক তথ্য না থাকলে উন্নয়ন পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়বে।
পরিসংখ্যানের তথ্য তুলে ধরে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে। এখন গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৬ বছর। পুরুষের তুলনায় নারীদের গড় আয়ু বেশি। পুরুষের গড় আয়ু ৭০ দশমিক ৩ এবং নারীদের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৯ বছর।’
গড় আয়ু বাড়ার কারণ উল্লেখ করে পরিকল্পনা সচিব বলেন, ‘এখন মানুষ অনেক স্বাস্থ্য সচেতন। স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে গড় আয়ু বাড়ছে।’
পরিকল্পনা সচিব বলেন, ‘সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে শিক্ষার হার বেড়েছে। এখন শিক্ষার হার ৭১ শতাংশ। স্কুল ফিডিং ও উপবৃত্তি চালুর কারণে শিক্ষার হার বেড়েছে।’