প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে, জানালেন আরাস্তু খান
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ তাঁর ফেসবুকে যে তথ্যসংবলিত স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আরাস্তু খান।
গতকাল বৃহস্পতিবার মতিঝিলের দিলকুশার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে আরাস্তু খান এ কথা বলেন। ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর আয়োজন করে।
আরাস্তু খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক তার ৩৪ বছরে প্রধানমন্ত্রীর জাকাত তহবিলে মোট ৩৪৭ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। ভ্যাট বাদ দিয়ে এখন এ তহবিলে ২৮ কোটি টাকা আছে। কিন্তু কিছু মিডিয়া বলেছে যে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে ৪৫০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার বিষয়ে নাকি বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরাস্তু খান বলেন, ‘আমাদের বোর্ড মিটিংয়ে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আর যেখানে গত বছর আমাদের নিট মুনাফা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর জাকাত তহবিলে এই টাকা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জাকাত তহবিলে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছি।’
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, “এ বিষয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে ডেকে নেওয়া হয়। এ সময় প্রধানন্ত্রীর সঙ্গে আমার ৪০ মিনিট ধরে কথা হয়েছে। এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তোমরা নাকি আমার জাকাত ফান্ডে ৪৫০ কোটি টাকা দিচ্ছ?’ প্রধানমন্ত্রী ধরেই নিয়েছিলেন আমরা এ টাকা তাঁকে দিচ্ছি। তিনি এমন বলেছেন যে তোমরা এত টাকা কোথা থেকে দেবে? আমি বলেছি, এটা মিথ্যা তথ্য।”
আরাস্তু খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় জাকাত ছাড়াও নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। কথা হয় ইসলামী ব্যাংকের সার্বিক বিষয় নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী এক ফাঁকে আমাকে বলেন, ‘তোমার সাথে আমার দেখা হওয়ার কথা ছিল ছয় মাস পর। কিন্তু তার আগে তোমার সাথে দেখা করতে হলো।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আরাস্তু খান বলেন, ‘আমাদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ চাইলে স্বেচ্ছায় পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। তাঁর থাকা বা পদত্যাগ নিয়ে ব্যাংকের ভেতর থেকে কোনো চাপ নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যানের না থাকার বিষয়ে চেয়ারম্যান জানান, ভাইস চেয়ারম্যান তাঁর ব্যক্তিগত কাজে দিল্লিতে থাকার কারণে আজ উপস্থিত হতে পারেননি।
গত বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ লেখেন, ‘অশুভ শক্তির ইশারায় আমার শতচেষ্টার পরেও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি পুনর্বাসিত হয়েছে। জাতির পিতার খুনিদের সাথে সংশ্লিষ্টরা ফিরে আসছেন নেতৃত্বে। আগামী বছর এই ব্যাংকটিকে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে ব্যবহার করার নীলনকশা সম্পাদন হচ্ছে।’