জিকা ভাইরাস: দেড় বছর পর জরুরি অবস্থা তুলে নিল ব্রাজিল
অনলাইন ডেস্ক : জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের হার কমে যাওয়ায় প্রায় দেড় বছর পর জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিল ব্রাজিল। জিকার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ২০১৫ সালের নভেম্বরে ব্রাজিল জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। ওই সময় ব্রাজিলে আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভাব ঘটে জিকা ভাইরাসের। সম্প্রতি আক্রান্তের হার ৯৫ শতাংশ কমে যাওয়ায় ব্রাজিলে জরুরি অবস্থা তুলে নেয় হলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছর এক লাখ ৭০ হাজার ৫৩৫ জন আক্রান্ত হলেও এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ৯১১ জন। গত বছর আটজন মারা গেলেও চলতি বছরে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ব্রাজিলে কেউ মারা যাননি।
২০১৫ সালে আমেরিকাজুড়ে অন্তত ২৫টি দেশে ভাইরাসটি স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়। দেশগুলো হচ্ছে- বার্বাডোজ, বলিভিয়া, ব্রাজিল, কেপ ভার্দে, কলম্বিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, এল সালভাদর, ফ্রেঞ্চ গুয়ানা, গুয়াদেলুপ, গুয়েতেমালা, গুইয়ানা, হাইতি, হন্ডুরাস, মেক্সিকো, পানামা, মারতিনিক, প্যারাগুয়ে, পুয়ের্তো রিকো, সেন্ট মার্টিন, সুরিনাম, সামোয়া, দ্য ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ডস ও ভেনেজুয়েলা।
গত বছর সিঙ্গাপুরে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ও ভারতীয় নাগরিকের শরীরেও এ ভাইরাস শনাক্ত হয়। জিকার প্রাদুর্ভাব ২০১৬ সালের অলিম্পিকের প্রস্তুতিতেও ব্রাজিলের জন্য হুমকি হয়ে এসেছিল।
ইয়েলো ফিভার, ওয়েস্ট নাইল, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু যে গোত্রের সদস্য, জিকা ভাইরাসও একই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত একটি ফ্লাভিভাইরাস। তবে উপরোক্ত ভাইরাসের কয়েকটি টিকা বা চিকিৎসা থাকলেও জিকার কোনো টিকা বা চিকিৎসা নেই। এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। জিকা যে কারণে বিশ্বের মনোযোগ টেনেছে তা হলো মাইক্রোসেফালি (একটি নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার) ও ভাইরাসটির মধ্যে যোগসূত্র। মাইক্রোসেফালির কারণে সদ্যোজাত শিশুদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিক আকারের চেয়ে ছোট হয়। এর কারণে শিশুদের মাঝে বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দেয় এবং কখনো কখনো মৃত্যুও হতে পারে।