কক্সবাজারে এসএমসি-সহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
---
কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ নূর বাহিনীর প্রধান সৈয়দ নূরকে একটি স্বয়ংক্রিয় সাব মেশিন কারবাইন (এসএমসি), একটি রিভলবার ও একটি ওয়ান শুটার গানসহ আটক করেছে র্যাব। আটক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নূরের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন থানায় ২৯টি মামলা রয়েছে।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানাধীন রাজাখালীর সৈয়দ নূর বাহিনীর প্রধান সৈয়দ নূর তার বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে এলাকায় ডাকাতি, লবণচাষিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, সমুদ্রে মাছধরার ট্রলারে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এলাকার জনসাধারণের মনে ত্রাস কায়েম ও প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে তিনি সর্বদা অবৈধ অস্ত্র মজুদ রাখেন।
এসব তথ্যর ভিত্তিতে র্যাব ৭, চট্টগ্রামের একটি দল গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে কক্সবাজারের পেকুয়া থানার রাজাখালী গ্রামের মৃত কাছিম আলীর ছেলে সৈয়দ নূর বাহিনীর প্রধান সৈয়দ নূরকে (৫২) একটি ৭.৬৫ মি.মি. পিস্তল এবং দুই রাউন্ড গুলিসহ আটক করা হয়।
পরে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যমতে, একটি অটোমেটিক সাব মেশিন কারবাইন (এসএমসি), একটি রিভলবার, একটি ওয়ান শুটার গান এবং পাঁচ রাউন্ড রিভলবারের গুলি উদ্ধার করা হয়। একই সময় আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ও পুলিশের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই আসামির বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন থানায় ২৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত তাকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে। পরে উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় তার বাহিনীকে সংগঠিত করে পূর্বের ন্যায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালু রাখে।
র্যাব ৭, সিপিসি ২, কক্সবাজার ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন জানান, আটক আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পেকুয়া থানায় হস্তান্তরসহ মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রসঙ্গে পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল হক খান জানান, রাজাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ নূর আটক হয়েছেন বলে শুনেছি তবে এখনো থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।