বন্যার সুযোগে চালের মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করছে ব্যবসায়ীরা : খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে হাওরাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যার সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘হাওরাঞ্চল নিয়ে ভুল সংবাদ ছড়িয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অকাল বন্যায় হাওরাঞ্চলে বোরোসহ মৌসুমি ফসল পানিতে ভেসে গেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সেখানে যে পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সমস্যা হবে না। সরকারের ভাণ্ডারে যথেষ্ট খাদ্য রয়েছে। এছাড়া যে পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা জাতীয় পর্যায়ের উৎপাদিত ফসলের তুলনায় খুবই কম।’
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশে বছরে সাড়ে তিন কোটি মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ লাখ মেট্রিক টন চাল পশুসহ অন্যান্য খাতে খরচ হয়। তারপরেও তিন কোটি ১৫ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ থাকে। সে তুলনায় মানুষের চাহিদা ২ কোটি ৯০ থেকে ৯২ লাখ মেট্রিক টন। সে হিসাবে আমাদের ১৫ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন মজুদ থাকছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্ন করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলে ছয় লাখ মেট্রিক টন বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের তিন কোটি মেট্রিক টন চাল থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল নষ্ট হওয়ায় বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে সেটা কিভাবে মনে করেন?
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সাম্প্রতিক সময়ে অকাল বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে হাওরাঞ্চলের ছয় জেলা। এতে হাওরে মোট এক লাখ ৪১ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এটি শুধু শাকসবজি ও বোরো ধানের হিসাব।
দ্বিতীয় ফুড এন্ড এগ্রো বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৭, ২য় এগ্রোক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৭ ও ২য় ইন্টারন্যাশনাল পোল্ট্রি এন্ড লাইভস্টোক বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৭’ শিরোনামে বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত সেক্টরের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনীটি শুরু হয়েছে আজ। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে।