বাঞ্ছারামপুুরে চালের বিকল্প কাউন চাষে দররকার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা
---
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় কাউন চাষ ব্যাপক হারে কমে গেছে।অথচ,৯০ দশকে উপজেলায় প্রায় ৮০ থেকে ১ শত হেক্টর কাউন চাষ করতো স্থানীয় কৃষকরা। বর্তমানে বাঞ্ছারামপুরে প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সতে¦ও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব এবং কৃষকদের চাষাবাদে অনিহার কারনে কাউন নামটি ভুলে যেতে বসেছে এলাকার কৃষকরা।কাউনের চাল ,প্রচলিত চালের সাথে মিশিয়ে ভাত রান্না করে খাওয়া যায়।ভাতের চেয়ে দ্বিগুন পুষ্টিগুন রয়েছে কাউনে।চাল যেমন লম্বা সরু হয়,কাউন দেখতে ভিন্ন।কাউনের আকৃতি গোল সরিষার দানার মতো।পাকা কাউন দেখতে সোনালী হলুদ।দারুন সুন্দর।কাউনের তৈরী পিঠা ও পায়েস দারুন সুস্বাধূ।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.জামাল হোসেন জানান,বাঞ্ছারামপুরের ১৩টি ইউনিয়নের ১২১ টি গ্রামের মধ্যে মাত্র হাতে গুনা ৪/৫টি গ্রামে বিচ্ছিন্নভাবে কাউন চাষ হেেচ্ছ।সরকারি কোনো প্রণোদনা নেই কাউন চাষীদের জন্য।
আজ মঙ্গলবার সেেরজমিনে ঘুুরে উপজেলার মানিকপুর,বাহেরচর ও শান্তিপুরে ডজনখানেক কাউনচাষীদের সাথে জমিতে বসে কথা হয়। বাহেরচরের কৃৃষক আলামিন মোল্লা বলেন,-‘এখন কেউ কাউনের ভাত খাইতে চায় না,নিজে ও গরীব গরীব লাগে।কাউন বাজারেও বিক্রি করতে কষ্ট হয়।অহন মানুষ সব বড়লোক হইয়্যা গেছে।তারা এখন বাসমতি ও মিনিকেট চাইলের ভাত খায়’।
শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন,সরকার এখন টেষ্ট রিলিফ,কাবিখা,কর্মসৃজন,ন্যয্য মূল্যে নামমাত্র মূলে চাল দিচ্ছে দরিদ্রদের।সে কারনেই ভাতের চালে এখন আর কেউ কাউন দিতে চায় না।মানিকপুর গ্রামের কৃষক ফজর আলী বলেন,‘মেহমানদের কাউনের ভাত দিলে হেরা বিষয়ডা মাইন্ড করে।মনে করে আমরা বুঝি বেশী গরিব।’
তবে অভিঙ্গদের মতে,সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সম্প্র্রতি সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্র্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওড়ে যে পরিমান ধানী ফসল হানি হয়েছে,এখন যদি পর্যন্ত কাউন থাকতো তবে চালের ঘাটতি কাউন দিয়ে মিটানো যেতো।