শুক্রবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০১৭ ইং ১৫ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কোন অপশক্তির কাছে আমাদের বৈশাখ, সংস্কৃতি পরাভব মানেনি, মানবে না- মোকতাদির চৌধুরী এম.পি

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ২১, ২০১৭
news-image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, পার্বত্য চট্রগ্রাম মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট লেখক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, এদেশে অপশক্তি অন্ধকারে  থেকে শুভ শক্তি ও প্রগতিশীল শক্তিকে আঘাত করতে চায়, শুভ শক্তিকে বিভ্রান্ত বিব্রত করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে, বৈশাখ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে, আমরা প্রতিবাদ করেছি তাই তারা সফল হতে পারেনি, সারাদেশে ঝাঁকঝোমকের সাথে এবার বৈশাখ পালিত হয়েছে, আগামী দিনেও হবে। কোন অপশক্তির কাছে আমাদের বৈশাখ, সংস্কৃতি কৃষ্টি পরাভব মানেনি, মানবে না। বাঙ্গালির সংস্কৃতি কৃষ্টি ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা জ্ঞানী গুণীর জন্ম হয়েছে , স্যার সৈয়দ সামসুল হুদা, ব্যারিষ্টার এ রসুল, শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত, অদ্বৈত মল্ল বর্মণ, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা, ওস্তাদ আলী আকবর খাঁর জন্মভ’মির অতীত সোনালী দিনগুলোকে আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সাহিত্য সংস্কৃতি লালন চর্চায় গতি ধারা  এনেছি, এখন নতুন প্রজন্মকে শত রকমের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। যারা আমাদের সাহিত্য সং¯কৃতিকে ধ্বংস করতে চায় তারা দেশ ও জাতির শত্রু, তাদের বিরদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন , রাস্ট্রীয়ভাবে বেগম রোকেয়া পদক প্রাপ্ত রামরাইলের শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের নাতনি আরোমা দত্ত এবং একুশে পদক প্রাপ্ত ওস্তাদ আজিজুল ইসলামের সাথে এ জনপদের শেকড়ের টান রয়েছে। সাহিত্য একাডেমি তাদের সম্মাননা দিয়ে যথার্থ ভূমিকা পালন করেছে। এই দুই কৃতি সন্তান আমাদের অণুপ্রেরণার উৎস। তিনি সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবকে সংস্কৃতিচর্চার অনন্য স্মারক হিসেবে উল্লেখ করে সংশ্লিস্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। এবং দেশীয় ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সকল প্রগতিশীল সংস্কৃতিসেবী সাংস্কৃতিক সংগঠক সহ আলোর পথযাত্রীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত বৈশাখী উৎসবের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জেলার কৃতি সন্তান একুশে পদক প্রাপ্ত বরেণ্য বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম,রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত আরমা দত্তকে সাহিত্য একাডেমি সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুভীতি ব্যক্ত কালে এই দুই কৃতি সন্তান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ,সাম্প্রদায়িকতা ও  মৌলবাদ কখনই এ জেলার ঐতিহ্যকে ম্লান করতে পারবে না।কোন অন্যায় বিভাজন জেলার ঐতিহ্যের ক্ষতি করতে পারবে না। জেলার ঐতিহ্য সংস্কৃতির বিকাশে মোকতাদির চৌধুরী এমপির বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য মোকতাদির চৌধুরীকে এ মাটির এক শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে তাঁরা উল্লেখ করেন।  তারা বলেন  মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এবং মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেক এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন মিয়া।
আলোচক ছিলেন সাহিত্য একাডেমির জীবন সদস্য মো. আলমগীর ভ’ইয়া।
সাহিত্য একাডেমি বৈশাখী উৎসবের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মোহাম্মদ আবু তাহের এর সভাপেিতত্ব শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধরী বাপ্পী, বৈশাখী উৎসবের যুগ্ম সদস্যসচিব শরাফত হোসেন। সাহিত্য একাডেমির পরিচালক মান বর্দ্ধন পালের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৈশাকী উৎসবের সদস্য সচিব একেএম শিবলী। সমাপনী দিনে ভারতের ত্রিপুরার এবং সাহিত্য একাডেমির শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। মঙ্গলা প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে বৈশাখী উৎসবের সমাপনী টানেন সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।