g বাঞ্ছারামপুরে বায়োস্কোপ এর নেশা এখনো আছে | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০১৭ ইং ২৯শে আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে বায়োস্কোপ এর নেশা এখনো আছে

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ১৩, ২০১৭

---

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় চৈত্র-বৈশাখ মাঝামাঝি সময়ে বাংলার নতুন বছর  এলেই ছোটবড় সবার প্রিয় ছিলো মেলা। চারপাশ নদী ও হাওরাঞ্চলখ্যাত  উপজেলা বাঞ্ছারামপুরের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী সৃষ্টি ছিলো বায়োস্কোপ। উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের বাহের চর,নগরীর চর সহ ছলিমাবাদ,ফরদাবাদ,রুপুসদী,পাহাড়িয়াকান্দি,মরিচাকান্দি, শিবপুর সোনারামপুর, দরিয়াদৌলতসহ বিভিন্ন গ্রামে নতুন বছর এলেই  সব বয়সীরাই শুরু করে দিতো বায়োস্কোপ দেখা। বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যাক্তি ও হামদু মিয়া চেয়ারম্যান বায়োস্কোপ প্রসঙ্গে সৃতি হাতরিয়ে বলেন আগে বৈশাখ মাসের শুরুতে আগে আমরা বায়োস্কোপে অদ্ভুদ-অদ্ভুদ বিষ্ময়কর ছবি দেখে মজা পেতাম।মেয়েরা কিনতো মাটির খেলনা-পাতিল।গ্রাম বাংলারি ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলায় বায়োস্কোপ এখন আর চোখে পড়ে না।।যা আজ কালের বিবর্তনে অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে’। তবে,আশার কথা-বিলুপ্তপ্রায় এই বায়োস্কোপকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে এই উপজেলার কিছু সংস্কৃতিমনা যুবক ঢাকার মানিকগঞ্জ থেকে বায়োস্কোপ ভাড়ায় এনেছে বলে জানা গেছে । যা পহেলা বৈশাখে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে জানায় বাঞ্ছারামপুরের একমাত্র শিল্প ও সংস্কৃতির  ধারক প্রতিতী সংগীত নিকেতন।

বায়োস্কোপ পেশায় জড়িত সংশ্লিষ্ট এক ব্যবসায়ী জানান, এখন আর আগের মত বায়োস্কোপ এর প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই মেলায় বসলে থাকা খাওয়া খরচ মিটিয়ে বাড়ী কিছু নেয়া যায়না।বাঞ্ছারামপুর পার্শ্ববতী নবীনগর ও মুরাদনগর উপজেলার কয়েক জন ছিল এই পেশায় তারা জড়িত তারা পেশা ছেড়ে দিয়েছে। কয়েক বছর আগে এ পেশার সাথে জড়িতরা মাঠে ঘাটে প্রাচিন বায়োস্কোপ ব্যবসা নিয়ে ঘুরে বেড়াতো এখন হারিয়ে গেছে। আধুনিক  যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে এই ব্যবসার কদর নেই। মেলায় বসলেও অনেক চেনেনা বায়োস্কোপ কি জিনিস। আগামী প্রজন্ম হয়তো চিনবেনা বায়োস্কোপ কি জিনিস ছিল। কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে বায়োস্কোপ, শুধু শুনবে বায়োস্কোপের গল্প’।

এ জাতীয় আরও খবর