শুক্রবার, ২১শে এপ্রিল, ২০১৭ ইং ৮ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

শাহজালালে কার্গো হ্যান্ডলিং অব্যবস্থাপনায় মন্ত্রণালয়ের অসন্তোষ

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ১৩, ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং অব্যবস্থাপনার কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী ও সচিব।

বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আগামী তিন দিনের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে যত্রতত্র পড়ে থাকা মালামাল কার্গো কমপ্লেক্সের পেলেট সাজিয়ে রাখার নির্দেশ প্রদান করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এ ছাড়া বিমান থেকে কার্গো কমপ্লেক্স পর্যন্ত পণ্য পরিবহনে প্রয়োজনীয় ফর্কলিফট সংগ্রহ ও দক্ষ চালকের শূন্যতা পূরণ করার নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়,পণ্য ডেলিভারির সুবিধার্থে এখন থেকে শনিবার কাস্টম হাউস ও ব্যাংক খোলা থাকবে। অন্যান্য দিন কাস্টম হাউস পাঁচটার বদলে সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পণ্য পরিবহনে গতি আনতে এখন থেকে বন্দরের তিন নম্বর গেট খোলা থাকবে। দ্রুত বারকোড লাগানো নিশ্চিত করা হবে।কার্গো কমপ্লেক্সে পেলেট স্থাপনের পরও মালামাল খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চেয়ে এ জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সভায় রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘কার্গো ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, বিমানবন্দরের সৌন্দর্য, নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই এর ব্যত্যয় হলে বিমানবন্দরের সার্বিক ব্যবস্থাপনাকে এটি ক্ষতিগ্রস্ত করে। অন্যদিকে খোলা আকাশের নিচে মালামালসমূহ পড়ে থাকায় একদিকে মালামাল নষ্ট হয়, অন্যদিকে সময়মত পণ্য ডেলিভারি না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।দেশের আমদানি ও রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সর্বোপরি দেশের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়। এ অবস্থা উত্তরণে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম ফারুক, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি, অতিরিক্ত সচিব এএইচএম জিয়াউল হক, বিমানের এমডি মোসাদ্দেক আহমেদ, বিজিএমইএ-র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ কাস্টমস, কুরিয়ার, ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দেশের বিমানবন্দরগুলোর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এবং কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পালন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিমান নিজেদের বহনকৃত মালামাল ছাড়াও অন্যান্য এয়ারলাইন্সের বহনকৃত মালামাল গ্রহণ ও ডেলিভারি প্রদান করে থাকে।