শুক্রবার, ২১শে এপ্রিল, ২০১৭ ইং ৮ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

নববর্ষের ঢেউ লেগেছে কুমারপল্লীতে

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ১৩, ২০১৭
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব। নতুন বছরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার জন্য চলছে সর্বত্র ব্যাপক প্রস্তুতি। পিছিয়ে নেই জেলার কুমার পবিারগুলো। বর্ষবরণনের ঢেও লেগেছে কুমার পল্লীতেও । ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কুমার পাড়ায় এখন উৎসবের আমেজ। মৃৎশিল্পিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছে তারা। নববর্ষ উপলক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে বসবে মেলা । হাড়ি-পাতিল খেলনা সহ মাটির তৈরী বিভিন্ন জিনিষের ব্যাপক চাহিদা থাকে মেলায় । চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে তৈরী করা হচ্ছে মাটির পুতুল ,নৌকা ,চুলা কলসি ইত্যাদি। নতুন বছরের শুরুতে কিছুটা বাড়তি উপার্জনের জন্য দিন-রাত কাজ কাজ করছে তারা।

ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলায় ৬/৭ হাজার নারী-পুরুষ মৃৎশিল্পে নিয়োজিত রয়েছে। এক সময় এ শিল্পের অনেক কদর থাকলেও প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে এখন তা ঝিমিয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকজন কুমার জানালেন সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও বছরের এ সময়টা তাদের বেশ ভালই যায়। বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত মেলার জন্য তৈরী করা হচ্ছে মাটির তৈরী খেলনা সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। কুমিল্লা, সিলেট, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এখান থেকে মাটির জিনিষ কিনে নিয়ে যাচ্ছে।বাড়তি অর্ডার পাওয়ায় বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ সময়টা বেশ ভালই যায় । এতে প্রতিদিন তাদের প্রায় ১০০০/১২০০ টাকা আয় হচ্ছে
মৃৎশিল্পি অনিল পাল জানান ,বৈশাখ উপলক্ষে রাত – দিন কাজ হচ্ছে। মেলার মালের প্রস্তুতি নিয়েছি।
ললিতা রানী পাল জানালেন , সামনে মেলা বার্ণি ,সেগুলোর কাজ করছি।মেলার আগেই এগুলো ডেলিভারি দেয়া হবে।। তাদের দাবী সরকার যেভাবে পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছেন মিষ্টির দোকানে মাটির পাতিলের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করলে এ পেশায় নিয়োজিতরা বছরজুরে এর সুফল পাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমী সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন বলেন ,আগে যে রকম নববর্ষকে কেন্দ্র করে কুমার পাড়ায় পন্য তৈরী হত, এখন আবার পূর্ণ উচ্ছাসে সেগুলো তৈরী হচ্ছে।

সারা বছর যাতে নববর্ষের আনন্দঘন পরিবশে কুমার পাড়ায় বিরাজ করে এমনটাই আশা করছে সাধারণ মানুষ।