শুক্রবার, ১৪ই এপ্রিল, ২০১৭ ইং ১লা বৈশাখ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

কাশিমপুর কারাগারে দুটি অ্যাম্বুলেন্স, নিরাপত্তা জোরদার

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ১২, ২০১৭

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করেছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স দুটিকে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

অন্যদিকে গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার সৈয়দ মঞ্জুরুল হক ৬টা ৩২মিনিটে ওপৌনে ৭টার দিকে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশ করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তাঁর দুই সহযোগী শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুল এবং দেলোয়ার হোসেন রিপনের দণ্ড কার্যকর করতে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষ বলেছে, বুধবার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হতে পারে।

এদিকে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নতুন বাজার মোড় থেকে কাশিমপুর কারাগারের প্রধান ফটক পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রধান ফটকের দুই পাশের ১৫০টির বেশি দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নতুন বাজার মোড় থেকে কারাগারে ঢোকার মুখ পর্যন্ত পুলিশ দুটি তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। এর আশপাশে পুলিশ, র‍্যাব ও সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।

কারা সূত্র বলেছে, হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল রয়েছে এই কারাগারে। মঙ্গলবার ফাঁসির মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে। শামিয়ানা টাঙানো হয়। জল্লাদদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এর আগে বুধবার সকালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি আবদুল হান্নানের সঙ্গে তাঁর স্বজনেরা দেখা করেছেন। মুফতি হান্নানের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও বড় ভাই কারাগারে এসে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আর দুপুরে দেখা করেন একই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই ভাইও। মুফতি হান্নানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তাঁর স্বজনদের কাছে মঙ্গলবার খবর পাঠিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।

২০০৪ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে গ্রেনেড হামলা ও তিনজন নিহত হওয়ার মামলায় মুফতি হান্নান এবং তাঁর সহযোগী বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগেও তা বহাল থাকে।

রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) তিনজনের করা আবেদন খারিজ হয়। গত ২৭ মার্চ তিনজনই প্রাণভিক্ষা চেয়ে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। গত রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, তাঁদের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করেছেন।