শুক্রবার, ২১শে এপ্রিল, ২০১৭ ইং ৮ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

শিশু রাজন হত্যার হাইকোর্টের রায় আজ

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ১১, ২০১৭

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের চাঞ্চল্যকর শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। বেলা ১১টার দিকে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে, গত ১২ মার্চ রাজন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১১ এপ্রিল দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

গত ৩০ জানুয়ারি পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করেন রাষ্ট্রপক্ষ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও বিলকিস ফাতেমা।

আসামিপক্ষে ছিলেন এস এম আবুল হোসেন, বেলায়েত হোসেন, শাহরিয়ায় ও শহিদ উদ্দিন চৌধুরী। পলাতক এক আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত হিসেবে ছিলেন আইনজীবী হাসনা বেগম। পরে আতিকুল হক সেলিম বলেন, ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের ওপরে শুনানি শেষ হয়েছে। হাইকোর্ট ১১ এপ্রিল রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

আতিকুল হক সেলিম আরও জানান, রাজন হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে ১০ আসামির মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তিনজনের সাত বছর করে এবং অপর দুজনের এক বছর করে কারাদণ্ড হয়। পলাতক পাভেল আহমেদ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি আপিল ও জেল আপিল করেছেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নূর মিয়ার আপিলের ওপর শুনানি হয়।

উল্লেখ্য, সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরাই সেই নির্যাতনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তদন্ত শেষ করে ওই বছরের ১৬ আগস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৭ কার্যদিবস বিচারিক কার্যক্রম শেষে ওই বছরের ৮ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় দেন।

রায়ে আসামিদের মধ্যে কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল আহমদের ফাঁসির আদেশ হয়। কামরুলের সহযোগী নূর মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং কামরুলের তিন ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদকে (পলাতক) সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এক বছর করে দণ্ড হয় দুলাল আহমদ ও আয়াজ আলীর।