‘রিভিউ না পড়েই হয়তো দর্শক ছবিটা দেখবেন’
বিনোদন ডেস্ক :আগামী ১৪ এপ্রিল মুক্তি পাবে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বিসর্জন’। দিনভর প্রোমোশনে ব্যস্ত ছবির নায়িকা জয়া আহসান। দিনভর কথা হয়েছে এসএমএস বা হোয়াটস্অ্যাপে। দিন পেরিয়ে সন্ধে নামল। সন্ধে গড়িয়ে রাত। মধ্যরাতের একটা এসএমএস ‘ফোন করি’? রিং ব্যাক করতেই চেনা জয়া। সেই রাতেই শুরু হল আড্ডার মোড়কে সাক্ষাত্কার।
জাতীয় পুরস্কার পেল আপনার ছবি ‘বিসর্জন’, অনেক অভিনন্দন।
(হেসে) ধন্যবাদ, ধন্যবাদ! কিন্তু একটু শুধরে দেব আপনাকে।
বলুন প্লিজ।
‘বিসর্জন’ আমাদের সকলের ছবি। কৌশিকদার, আবিরের, কালিকাদার— সকলের।
একেবারেই তাই। জাতীয় পুরস্কারের অনুভূতিটা কেমন?
এ তো বলে বোঝানো মুশকিল। কোথাও দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। তবে একটা কথা না বলে পারছি না, দর্শকদের যদি পছন্দ হয় তা হলে আরও খুশি হব।
সেলিব্রেশনের কী প্ল্যান?
কিছু একটা তো হবেই। দোয়া করুন, আমি কলকাতায় থাকতে থাকতেই যেন সেলিব্রেশন হয়। ঢাকায় ফিরে গেলে তো আর এনজয় করতে পারব না (তুমুল হাসি)। আমাদের প্রযোজকের এটা প্রথম ছবি। সেটাতেই রাষ্ট্রীয় সম্মান। দারুণ ব্যাপার। পাশাপাশি ছবির বাণিজ্য মানে বক্স অফিসের রেজাল্ট ভাল হলে আরও ভাল হবে। প্রযোজকদের উত্সাহ বাড়বে। আসলে এ ভাবেই ইন্ডাস্ট্রির প্রসার হয়।
ঠিকই। আর তিন দিন পরেই ছবির মুক্তি, জোরকদমে প্রচার চলছে তো?
হ্যাঁ। সারা দিন প্রোমোশন করছি। অনেক কথা বলছি এ বার।
মুক্তির আগেই জাতীয় পুরস্কার। পরিস্থিতি কতটা বদলাল?
সাহসটা বেড়েছে একটু। ছবিটা নিয়ে আরও কনফিডেন্টলি কথা বলছি। দর্শকদেরও আগ্রহ বাড়বে বলেই মনে হয়।
আরও বেশি দর্শক হলে আসবেন?
দেখুন জাতীয় পুরস্কার এতটা মানদণ্ড তৈরি করে দেয়। অত্যন্ত সম্মানের বিষয় এটা। ফলে যে দর্শক একটু গড়িমসি করছিলেন, ভাবছিলেন রিভিউ পড়ার পরে ছবিটা দেখবেন, তাঁরা হয়তো আগেই দেখে ফেলবেন।
একই দিনে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘বেগমজান’ও মুক্তি পাচ্ছে। ‘বিসর্জন’ জাতীয় পুরস্কার পাওয়ায় প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে থাকল বলে মনে করেন?
সৃজিতের ছবির ব্যপ্তি অনেক বড়। আমরা রিজিওনাল। আমাদের স্ট্রাগলটা অন্য। ‘বেগমজান’ হিন্দি ছবি, বিদ্যা বালন অভিনয় করেছেন সেটা তো সকলে দেখবেনই। আমিও দেখব। কিন্তু কৌশিকদারও নিজস্ব দর্শক আছেন। আর বাংলার মানুষ গল্পের টানেই ‘বিসর্জন’ দেখবেন সিনেমাহলে বসে। ‘বেগমজান’-এর সঙ্গে তো আমাদের কোনও বৈরিতা নেই। ফলে এটা বোধহয় এগিয়ে-পিছিয়ে থাকার ব্যাপার নয়।
ক’দিন পরেই পয়লা বৈশাখ। কলকাতায় আছেন, মিষ্টিমুখ হচ্ছে তো?
মিষ্টি না। মটন-মুখ বলতে পারেন। ভাত, মাছ, মটন চুটিয়ে খাচ্ছি এ বার। আমার তো আবার অ্যাংজাইটি ইটিং-এর অভ্যেস আছে। যখন স্ট্রেসে থাকি তখনও বেশি খাই। এখনও তাই হচ্ছে। কোনও ডায়েট মানতে পারছি না।
এত আনন্দ-আয়োজনে কালিকাপ্রসাদ নেই…
(প্রশ্ন থামিয়ে দিয়ে) গানগুলো কানে বাজছে, এখনও শুকোয়নি। তবে এত কষ্টের মধ্যেও ভাল হল কালিকাদার করা মিউজিক রাষ্ট্রীয় সম্মান পেল। কিন্তু উনি দেখে গেলেন না। সকলকে রেখে সিংহদুয়ার দিয়ে চলে গেলেন।