বুধবার, ২৮শে জুন, ২০১৭ ইং ১৪ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত

AmaderBrahmanbaria.COM
মার্চ ১৬, ২০১৭

---

আমিরজাদা চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনীতে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছে। নিহতের নাম তাজুল ইসলাম আল মাহমুদ ওরফে মামা হুজুর (৪৫)। তার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীঞ্জের খাদুল্লাপুর গ্রামে। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, বুধবার গভীর রাতে তাজুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা সেখানে গোপন মিটিং করছিল খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে তারা ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পুলিশ ১২ রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। এতে তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ও  জানান, বুধবার দিবাগত রাতে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচলানার জন্য ৫/৬ জন জঙ্গি কুটি চৌমুহনী এলাকায় জড়ো হয়েছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে কসবা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে জঙ্গিরা পুলিশের উপর ককটেল হামলা এবং গুলি বর্ষণ শুরু করে।

এসময় নিজেদের আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জঙ্গি মামা হুজুরের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে বাকি জঙ্গিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় কসবা থানা পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৩৫টি ককটেল, ৫টি ধারালো চাপাতি ও ১টি পাইপগান এবং ৯ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কবিরাজ ফরিদ মিয়ার (৪৭) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জহির মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, ধর্ষণ, প্রতারণা ঠেকিয়ে বেহেস্তে যেতে কথিত মামা হুজুরের (নিহত ব্যক্তি) নির্দেশে ফরিদ মিয়াকে হত্যা করেন তিনি।

এ জাতীয় আরও খবর