বাঞ্ছারামপুর পল্লী বিদ্যুৎতের মিটার সংযোগে ব্যাপক অনিয়ম প্রভাবশালীরা জড়িত
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছা চারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার(ডিজিএম) আবু মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আকন্দ ও তার অধীনস্ত বেশ কিছু মিটার রিডার ও লাইন ম্যান মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মিটার সহ বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন। আর যারা তাদের মোটা অংকের টাকা দিতে পারছে না তারা মাসের পর মাস এমনকি বছর গড়িয়ে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না বলে বিভিন্ন সূএে জানা গেছে। সরকার বিদ্যুৎ আবেদনের ১ মাসের মধ্যে সংযোগ দেয়ার নির্দেশ থাকলেও বাঞ্ছারামপুরে ৫ বছর আগে সংযোগের জন্য আবেদন করেছেন এমন ব্যাক্তি পাওয়া গেছে উপজেলার দুর্গারামপুর সহ বিভিন্ন গ্রামে ।
সরেজমিনে দেখা গেছে,পল্লী বিদ্যুতের ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান এখনো তাদের চেম্বারে ‘পল্লী বিদ্যুত অনুমোদিত ইলেকট্রিশিান’ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে।অথচ,সরকার বহুআগেই পবিস-আওতাভূক্ত ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ানের কোঠার বিষয়টি বাতিল করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।
জানা গেছে, দূর্গারামপুরে ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালি নেতা তার নামে ৩ খানা মিটার সংযোগ এক সপ্তাহের ভিতর সংর্যোগ নিয়েছ। এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ এই সংযোগ ব্যাণির্জ নিয়ে অনেকটা খোলামেলা ভাবেই। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অর্ন্তভূক্ত ইলেকট্রিশিয়ান এই দালাল চক্রটি উপজেলার ১২১ টি গ্রাম ও ১৩ টি ইউনিয়নের লোকজনের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ পাইয়ে দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছে জনপ্রতি ১০/১৫ হাজার টাকা করে। মাঠ পর্যায়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। কিন্তু ডিজিএম এর দালাল নামের কিছু পরিচিত ইলেকট্রিশিয়ান কাছে অতিরিক্ত টাকা দিলে ঠিকই এক মাসের মধ্যে সংযোগ পাওয়া যায়।
বাঞ্ছারামপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আবু মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আকন্দ বলেন,দালাল লিটনের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। সে পুলিশের ভয়ে এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে থাকে । তবে লিটন বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে আমার নাম করে টাকা নিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এসব বিষয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ সমিতি -৩ এর জেনারেল ম্যানেজার মো.রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।