রবিবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০১৭ ইং ১০ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

স্বাবলম্বী নারী বাঞ্ছারামপুরে একটি গ্রাম বদলে যাওয়ার গল্প

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আকানগর গ্রামের পারুল, কুলসুম, নাদেরা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।তারা ভিন্ন ভিন্নভাবে নিজ-নিজ বসতবাড়ীর আঙ্গীনায় কেউবা জমি বর্গা নিয়ে সেখানে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির চাষ করে,যেনো-সবজির গ্রাম বানিয়ে ফেলেছেন।নিজেরা হয়েছেন স্বাবলম্বী।স্বামীর পাশাপাশি এই নারীরা বাড়তি আয় করে অর্থ জোগান দিচ্ছে পরিবারে।আর সবই সম্ভব হয়েছে, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত নগদ অর্থ ঋণ হাতে পেয়ে।

মাত্র ২ মাস আগে ডিসেম্বরের কথা। বসুন্ধরার সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণের ১০ হাজার টাকা হাতে পেয়ে বাঞ্ছারামপুরের আছিয়া বেগম ৫০ শতাংশ জমি পত্তন নেন ২ হাজার টাকায় সেখানে বিভিন্ন রকম সবুজ তরকারি,সবজি রোপন করেন।তারমধ্যে,ডাটা,চালকুমড়া,
সরিষা,বাধা ও ফুল কপি, চিচিঙ্গা,লাউ,সীম,টমেটো,ঝিঙ্গা,
কাচামরিচ,পেপে ইত্যাদি।

মায়া বেগম তো বাজিমাত করেছেন মাত্র ৭ শতাংশ জমিতে ডাটা চাষ করে।জমিতে ডাটা রোপনের দেড় মাস পর হতে করে বাজারে সেগুলো বিক্রি করতে শরু করেন।১৫ দিনে ১০ হাজার টাকা।

বেগুন,ঝিঙ্গা,চালকুঁমড়া,লাউ,ডাটা এই ৫ তরকারী একাই চাষ করেন আ.আজিজ মিয়ার স্ত্রী পারুল বেগম।
ফুল ও বাধাকপি চাষী মর্জিনা,সরিষা চাষ করে শেফালী,আর নয়ন তারা বেগমের পেপের বাগান যেনো সবুজের সমারোহ।সাড়ি-সাড়ি পেঁপে গাছ দেখলে মন জুড়িয়ে যায়।নয়ন তারা জানায়.বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন হতে ৭ হাজার ৫শ টাকা সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে পেঁপে বাগান করে জানুয়ারি মাসে ১৫ হাজার টাকা আয় করেছেন।
মর্জিনা বেগম কাথা সেলাই ও তাতেঁ নকশি কাথার ডিজাইন করে মাসে উপার্জন করেন প্রায় ১২ হাজার টাকা।
আর এই সব নারীদের অনেকে স্বামীর পাশাপাশি নিজেরা উদ্যোগী হয়ে ও পরিশ্রম করে বিভিন্ন এন,জি ও থেকে ঋন নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন।