শুক্রবার, ১৩ই জানুয়ারি, ২০১৭ ইং ৩০শে পৌষ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

ভয়ংকর সুন্দর ভাবনা-বৃত্তান্ত

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ১২, ২০১৭

পুরোনাম আশনা হাবিব ভাবনা। নাচ, উপস্থাপনা, মডেলিং ও অভিনয়ে অল্পসময়েই দর্শকমন জয় করেছেন এ প্রিয়দর্শিনী। এবার তিনি মুগ্ধতা ছড়াতে আসছেন বড় পর্দায়। তার প্রথম সিনেমা ‘ভয়ংকর সুন্দর’ এখন মুক্তির অপেক্ষায়।

চলুন জেনে নেই, এ ভাবনার ক্যারিয়ার ভাবনা।

ভাবনার ভালোলাগা

কাজ করছি, ভালো কাজ করে যেতে চাই। ষ্টেজ অনেক ভালোলাগে।সিনেমাও করেছি। একজন অভিনেত্রীর কাছে সিনেমার কাজ অনেক বড় ব্যাপার। সেক্ষেত্রে যদি ভালো গল্প  ও চরিত্র মেলে, তাহলে তো কথাই নেই। তবে ষ্টেজে কাজ করে বেশ শান্তি পাই।

অভিনয়ে আইডল কে ?

আমি আমার মতোই হতে চাই। তবে আইডল যদি বলেন, তাহলে বলবো অড্রে হেপবার্নের কথা। তার অভিনয়ের আমি ভীষণ ভক্ত। লাইফে প্রথম দেখেছিলাম ‘রোমান হলিডে’ সিনেমাটি। আর প্রথম দেখার সে অনুভূতি-অনন্য। ঠিক তখন থেকেই অড্রে হেপবার্নের  ফ্যান হয়ে যাই। যদি কেউ কোনোদিন বাংলায়  রোমান হলিডে তৈরি করেন, তাহলে অড্রে হেপবার্নের চরিত্রটি আমার চাই-ই- চাই।

ভয়ংকর সুন্দর অভিজ্ঞতা

আমার কাছে জার্নিটা খুব ইন্টেরেস্টিং ছিল। ছবির কাজটা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলোমনে হয়েছে। প্রথম সিনেমাকে এতোটাই ভালোবেসেছি যে, শুটিং শেষ হওয়াতে খুব খারাপ লাগছিল। আর এ ইউনিটের কারো সঙ্গে দেখা হবে না ভেবে খুব কষ্ট লাগছিল।  কেবলি ভাবনা হচ্ছিল, আহারে আমি নয়নতারা হয়ে অভিনয় করতে পারবো না!

অনিমেষের সঙ্গে কাজ করতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। খুব যত্ন নিয়ে কাজটি করা হয়েছে।

চরিত্র সম্পর্কে

নয়নতারা একটু ভিন্নধর্মী চরিত্র। খুব ইনোসেন্ট একটি চরিত্র। এখন আমরা যান্ত্রিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু নয়নতারা সে যান্ত্রিকতার মধ্যে নেই। এ চরিত্র করার সময় নিজের মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখতে পেয়েছি। দর্শকদেরও চরিত্রটি কিছুটা হলেও অন্য জগতে নিয়ে যাবে, আমার বিশ্বাস। দর্শকদের কাছে আমার একটাই চাওয়া-সবাই হলে গিয়ে ছবিটি দেখবেন। আমাকে যারা পছন্দ করেন, সিনেমা যারা ভালোবাসেন, সবাই ছবিটি দেখবেন।

শিল্পী হিসেবে দায়বদ্ধতা

একজন অভিনেত্রী হিসেবে ভালো অভিনয় করাটাই আমার প্রথম দায়বদ্ধতা। আমি এমন কোনো কাজ করতে চাই না, যা দেখে আমার ফ্যামিলি বিব্রত হবে। আমার বোনরা কিংবা আমার অনাগত সন্তান যেনো বলতে না পারে-এ কেমন কাজ! আমার মনে হয়, সবারই কাজের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার। ভাবতে হয়-যাতে করে তার কাছের মানুষকে কোনো সমস্যা ফেস করতে না হয়।

নাটকসিনেমার পার্থক্য

অভিনয়টা আমার কাছে অভিনয়ই। একজন অভিনেত্রী হিসেবে যখন কাজ করি, তখন অভিনয়টাই করার চেষ্টা করি। সিনেমা বড় ব্যাপার, বাজেটও বেশি আর নাটকে বাজেট কম।তাই কম গুরুত্ব দেবো-এমনটা আমার মধ্যে কখনোই কাজ করে না। একটা পার্থক্য আমার কাছে মনে হয়েছে-সিনেমাতে হেল্পিং হ্যান্ড অনেক বেশি থাকে। লাইট, ক্যামেরা ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সবমিলে এটুকুই বলবো, সিনেমার আয়োজনতা বড় থাকে। কিন্তু একজন অভিনেত্রী কখনোই ক্যামেরার সামনে কাজ ফাঁকি দেয় না। এখানে কম-বেশি করার কোনো সুযোগ নেই।

সিনেমায় নিয়মিত হবেন কি

ভালো গল্প পেলে, চরিত্র পেলে অবশ্যই কাজ করবো। আর যদি না হয়, তাহলে কাজ করবো না। আমি এমন সিনেমায় কাজ করতে চাই, যা দেখার জন্য আমি নিজে উত্তেজনা বোধ করবো। এমন কোনো সিনেমায় কাজ করতে চাই না, যে শুধু লন্ডন আমেরিকায় গিয়ে নাচলাম। ক’টি রোমান্টিক সিন করলাম। আবার এমন ছবিও করতে চাই  না যেখানে আমাকে শোপিস হিরোইন কিংবা হ্যাংগার হিসেবে দেখানো হবে। আবার নায়কনির্ভর সিনেমাতেও কাজ করবো না। এমন ছবিতেই কাজ করতে চাই-যেখানে আমার চরিত্রের গুরুত্ব থাকবে।