‘আ. লীগ নেতারা কি জনগণকে কাঁচকলার রাজনীতি শেখাচ্ছেন?’
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন করে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা কি জনগণকে কাঁচকলার রাজনীতি শেখাচ্ছেন?’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে রাজধানীতে সমাবেশ করতে দেওয়ার ক্ষমতা ডিএমপির (ঢাকা মহানগর পুলিশ)। আওয়ামী লীগ নেতারা কি জনগণকে কাঁচকলার রাজনীতি শেখাচ্ছেন? জনগণ মনে হয় কিছুই বোঝেন না? ডিএমপির কাজ হচ্ছে অপরাধ দমন। গণতন্ত্রে বিরোধী দলের অধিকার দমন নয়।’
‘পুলিশকে পরিচালিত করে সরকার। সরকার যে নির্দেশই দেবে, সে নির্দেশই তারা পালন করবে। পুলিশ তো বন্ধ করেনি আওয়ামী লীগের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা।
আওয়ামী লীগের সমাবেশের জন্য বাংলাদেশের পুলিশ এখন আওয়ামী লীগের পারসোনাল সিকিউরিটিতে পরিণত করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে শহীদ জিয়ার নাম বাদ দিতেই পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার নাম বদলে দিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবে ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত আলোচনায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে এতটাই নষ্ট করে দিয়েছে যে এখন শুধু তারাই সভা-সমাবেশ করতে পারে, আর অনুমতি পায় না বিরোধী পক্ষ।
ড. মোশাররফ বলেন, ‘যেমনিভাবে ওয়ান-ইলেভেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করেছিল, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারিতে গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করেছে। গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য আজকে তারা এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আচরণ করছে। স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট না হলে জনগণের যে সাংবিধানিক অধিকার, ভোট দেওয়ার অধিকার, সমাবেশ করার অধিকার—এটা থেকে বঞ্চিত করা কোনোক্রমেই এটা হতে পারে না।’
সরকার গণতন্ত্রকে পদদলিত করে দেশব্যাপী লোক দেখানো উন্নয়ন মেলা করছে বলেও অভিযোগ করে বিএনপি।