মানুষ এবং নিয়ান্ডারথালের মিলনে জন্ম নেওয়া প্রথম সন্তানের সন্ধান!
নিউজ ডেস্ক : উত্তর ইতালিতে ৪০ থেকে ৩০ হাজার বছর আগের যে কঙ্কালটি পাওয়া গেছে সেটি মানুষ ও নিয়ান্ডারথালদের মিলনে জন্ম নেওয়া প্রথম শিশুর বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্লস ওয়ানে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আরো যে গবেষণা চলছে তাতেও যদি প্রমাণিত হয় যে, কঙ্কালটি এ ধরনের হাইব্রিড মানবসন্তানের তাহলে নিয়ান্ডারথাল ও আমাদের বর্তমান প্রজাতি হোমোসেপিয়েন্স মানুষদের মধ্যে যে শংকরায়ন হয়েছে তার পক্ষে বাস্তব সাক্ষ্য-প্রমাণ আরো জোরাল হবে।
ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে পরিচালিত এর আগে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ইউরোপ এবং এশিয়ার ১ থেকে ৪ শতাংশ আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ ছিল নিয়ানডারথাল প্রজাতির মানুষ।
এখানে ইটালিতে প্রাপ্ত যে দেহাবশেষটির কথা বলা হচ্ছে, তা এমন এক সময়কার যখন নিয়ানডারথাল এবং আধুনিক মানুষ উভয়ই ইউরোপে বসবাস করত।
আলোচ্য কঙ্কালটির জেনেটিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই ব্যক্তির মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ নিয়ানডারথাল। ডিএনএটি মায়ের দেহ থেকে সন্তানের দেহে এসেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে কোনো নিয়ানডারথাল মানবীর সঙ্গে হোমোসেপিয়েন্স পুরুষের মিলনে এই সন্তানের জন্ম হয়েছে।
২ লাখ বছর আগে আধুনিক মানুষরা ওই এলাকায় বসতি স্থাপন শুরু করে। যেখানে নিয়ানডারথালরা আগে থেকেই বসবাস করছিল।
তবে এই দুই প্রজাতির মানুষদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক বা প্রজাতির পুনরুৎপাদন সম্পর্ক স্থাপিত হলেও সাংস্কৃতিকভাবে এরা দূরত্ব বজায় রাখে। অবশ্য ধীরে ধীরে নিয়ানডারথালরা বিলুপ্ত হয়ে যেতে থাকে।
এর আগে প্রাপ্ত জীবাশ্ম থেকে প্রমাণ হয়েছে, এই এলাকায় এই দুটি প্রজাতি হাজার হাজার বছর ধরে পাশাপাশি বাস করছিল। নিয়ানডারথালরা হোমোসেপিয়েন্সদেরকে খুব সহজে মেনে নেয়নি। গবেষকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আধুনিক মানুষরা হয়ত নিয়ানডারথাল নারীদের ধর্ষণ করেছিল। অনেকটা আধুনিক কালের জাতিগত নির্মূল প্রক্রিয়ার মতো।
৩৫ থেকে ৩০ হাজার বছর আগে নিয়ানডারথাল মানুষদের সংস্কৃতি এবং সকল খাঁটি নিয়ানডারথাল বংশধররা বিলুপ্ত হয়ে যায়। সূত্র : লাইভ সায়েন্স