দিয়াজের মৃত্যুর জন্য ৪ জন দায়ী: চবি ছাত্রলীগ সভাপতি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইফরান চৌধুরীর মৃত্যুর জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা কমিটির চার নেতাকে দায়ী করেছেন শাখার সভাপতি আলমগীর টিপু। তিনি তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর টিপু এ দাবি জানান।
চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, দিয়াজকে ‘আত্মহত্যার’ প্ররোচনা দেওয়ায় চবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি মামুন, নাজিম, সৌমেন পালিত ও পাঠাগার সম্পাদক আবু বকর তোহাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি দিয়াজের মৃত্যুর জন্য তাঁর ‘কথিত প্রেমিকা’ চবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমা জেরিন প্রিয়াংকাকেও জিজ্ঞাসাবাদের দাবি করেন তিনি।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত টিপু মারা যাওয়া দিয়াজের পরিবারের করা মামলার অন্যতম আসামি। পাশাপাশি চট্টগ্রাম পূর্ব রেলের টেন্ডার নিয়ে জোড়া খুনের মামলারও আসামি তিনি।
দিয়াজ ইরফান চৌধুরীও চবি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গত ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর ক্যম্পাসে নিজ বাসা থেকে চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক দিয়াজ ইফরান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দিয়াজের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলা হলেও তাঁর পরিবারের দাবি দিয়াজকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এ ঘটনায় গত ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামশেদুল আলম চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনসহ ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
আদালত মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করতে দেওয়ার পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রধান একটি কমিটি করে পুনরায় ময়নাতদন্ত করার আদেশ দেয়। ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
দিয়াজের মৃত্যুর তদন্তে তিনিসহ অন্যরা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া না গেলে মামলার বাদীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করার হুমকি দেন টিপু।