মঙ্গলবার, ২রা মে, ২০১৭ ইং ১৯শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

শীর্ষ ৫ ওজন নিয়ন্ত্রণ টিপস

AmaderBrahmanbaria.COM
ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬

আপনি কি কখনো খারাপ খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত পরামর্শের ভিকটিম হয়েছেন? তাহলে আপনি একা নন। মৌসুম পরিবর্তনের মতোই ওজন নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত পরামর্শও পরিবর্তিত হয়।

কোনো মাসে এটি থাকে কার্বোহাউড্রেট কর্তন সংক্রান্ত। পরের মাসে হয় চর্বি বাদ দেওয়া সংক্রান্ত।

আর বোধগম্যভাবেই সব অস্থির ওজন নিয়ন্ত্রণ তথ্যের খবর রাখাটা একটু কঠিনই বটে। আর এ কারণেই পুষ্টি উপাদানগত বিষয়গুলো দূরে সরিয়ে রেখে বরং আরো বেশি বাস্তবসম্মত সমাধানের ওপর মনোযোগ দেওয়া ভালো। এখানে রইল ২০১৬ সালের শীর্ষ ৫ ওজন নিয়ন্ত্রণ টিপস :

১. প্রতিদিন খাবারের পর দাঁত ব্রাশ করুন
প্রতিবেলা খাবারের পরে নয় বরং শুধু প্রতিদিন রাতের খাবারের ৩০ মিনিট পর দাঁত ব্রাশ করুন। এতে শেষরাতে এসে জলখাবার খেতে ইচ্ছা করবে না। দাঁত ব্রাশ করার পর ‍মুখে যে সতেজ অনুভূতি সৃষ্টি হয় তা আরো খাবার গ্রহণের আকাঙ্ক্ষা তৈরিতে বাধা দেয়।

২. বড় ধরনের খাদ্যাভ্যাসগত পরিবর্তন করবেন না
খাদ্যাভ্যাসে হুট করেই নাটকীয় কোনো পরিবর্তন সাধন না করে বরং অল্প অল্প করে পরিবর্তন আনুন। যেমন প্রথমে মিষ্টি পানীয় ত্যাগ করুন। এরপর নাস্তার খাবারে পরিবর্তন আনুন। এভাবে এক এক করে আস্তে আস্তে পরিবর্তন আনুন। দেখতে কম মনে হলেও একসঙ্গে এই পরিবর্তন অনেক বড় আকারের প্রভাব ফেলতে সক্ষম।

৩. উচ্চ পানি উপাদান যুক্ত খাদ্য খান
পানির প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। পানি দেহের তরল উপাদানগুলোর ভারসাম্য রক্ষা করে। ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। মাংসপেশিগুলোকে শক্তিশালী করে। তবে একের পর এক পানির গ্লাস গেলার ফলে একঘেয়েমি তৈরি হতে পারে। অতএব পানির উপকারিতাগুলো পাওয়ার জন্য উচ্চ পানি উপাদানযুক্ত ফল এবং সবজি খান। যেমন আপেল, কিউই ফল, শাক এবং শসা।

৪. আধা প্লেট নিয়ম অনুসরণ করুন
‘আধা প্লেট’ নিয়ম- রাতের খাবারের প্লেটের অর্ধেক ফলমূল এবং শাকসবজিতে পূর্ণ করা- একটি সহজ এবং আরো বেশি কার্যকর ওজন নিয়ন্ত্রণ কৌশল। অন্তত ক্যালরির হিসাব রাখা এবং পুষ্টি উপাদানের হার বিশ্লেষণের তুলনায়। কারণ এটি নিয়ন্ত্রণমূলক নয়। সৌভাগ্যক্রমে এই কৌশল অনুসরণ কোনো বোঝা নয়। সবজি রান্নার কয়েকটন সন্তোষজনক এবং সুস্বাদু উপায় রয়েছে।

৫. নাস্তায় ডিম খান
নাস্তায় ডিম খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণের একটি গোপন রহস্য। ডিমে সাধারণত ক্যালরি কম থাকে এবং প্রোটিন বেশি থাকে। আর ডিমে রয়েছে প্রচুর সংখ্যক জরুরি পুষ্টি উপাদান। ডিমের নাস্তায় অভ্যস্থ হলে অন্যান্য ক্ষতিকর নাস্তা এড়িয়ে চলা যাবে।