দেশের সাতটি ইসলামী দলের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে প্রথম হামলা করার পর দ্বিতীয় হামলার দায় সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না। কারণ এ ধরনের হামলার ঘটনা কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারেন না।
শনিবার ইসলামী দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এসব কথা বলেন।
খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ও ওলামা কমিটি বাংলাদেশ নিয়ে গঠিত ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশ) চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে প্রথম হামলা করার পর সরকারের শতর্ক হওয়া উচিত ছিল। অমুসলিম ছাড়াও কারও উপর এ ধরণের হামলা ইসলাম স্বীকৃতি দেয় না।
তিনি বলেন, নাসিরনগরে যেসব হিন্দু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকার তাদেরকে ত্রাণ সামগ্রি ও গৃহনির্মাণ সামগ্রি দিয়ে সহযোগিতা করা উচিত।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর (চরমোনাই পীর) মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমদ বলেন, যাদের উস্কানীতে এ হামলা সংঘঠিত হয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবে এটা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার জন্য আমরা আমাদের দলের দায়িত্বশীলদের এ নৈরাজ্যকর ঘটনার খোঁজখবর নিতে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তারা ঘটনারস্থল থেকে আসার পর আমরা দলের পক্ষ থেকে আমাদের প্রতিক্রিয়া জনাব।
বাংলাদেশের খেরাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, আমরা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ইসলামী দলগুলোকে চাপে ফেলার জন্য পর পর দু’বার পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা এ ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানাই।
বাংলাদেম ওলামা পরিষদের কার্যকরী সভাপতি মাওলানা আবদুস সাত্তার বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এ হামলা চালিয়েছে। সরকারকে বিতর্কিত করতে তারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।
আমাদের সময়.কম