নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই আওয়ামী লীগকে স্তব্ধ করে। আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ মরবে না।
আজ শনিবার সকালে দলের ২০তম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফ এ কথা বলেন। তিনি নেতা-কর্মীদের দলকে আরও শক্তিশালী করতে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে পারবে না।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু কেউ এই দলকে ধ্বংস করতে পারেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। আরও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। একদিন হয়তো দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা থাকবেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগ থাকবে। এ দল মরবে না।
দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় লাখো নেতা-কর্মীর সহায়তার কথা স্মরণ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, সবাই মিলে দলকে এগিয়ে নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে।
সকাল ১০টার একটু পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। বিদেশি অতিথিরাও বক্তব্য দেন।
সম্মেলন উপলক্ষে কানায় কানায় পরিপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণে মুখরিত।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন নেতা-কর্মীরা। দলের নেতা-কর্মীরা দেশের বাইরে থেকেও সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন। এসেছেন বিদেশি অতিথিরাও।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে ৬ হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন হবে দ্বিতীয় দিন আগামী রোববার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। ওই অধিবেশনে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচন করা হবে। এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’।
উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশের সাবেক কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকেরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
সম্মেলনে নেতাদের বসার জন্য স্থাপন করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন নৌকা আকৃতির বিরাট মঞ্চ। ১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬৫ ফুট প্রস্থের এই মঞ্চে স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল প্রদর্শনী। মঞ্চের দুই পাশে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় নেতাদের প্রতিকৃতি। বিভিন্ন প্রবেশপথ থেকে সম্মেলনস্থল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিভিন্ন অর্জনের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে।
সম্মেলনের মঞ্চে নিরাপত্তা তল্লাশি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন ও ঢাকা শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য মোতায়েন আছেন। সম্মেলনস্থলে লাগানো হয়েছে প্রায় ১৪০টি সিসি ক্যামেরা। প্রথম আলো