আমিরজাদা চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : হিন্দু ধর্মালম্বীদের অন্যতম অনুষ্ঠান দূর্গাপূজা আর এই প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে ভক্তদের মাঝে এখন উৎসবের আমেজ আসতে শুরু করছে। যদিও পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে এখনো সপ্তাহ খানেক বাকি।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলাজুড়ে ৫১৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ৭৬টি মণ্ডপ, নবীনগর উপজেলায় ৯৮টি, কসবা ৪৪টি, বাঞ্ছারামপুরে ৩৭টি, আখাউড়ালায় ২০টি, নাসিরনগরে ১৩৪টি, আশুগঞ্জে ১২টি, বিজয়নগরে ৫৫টি ও সরাইলে ৪০টি মণ্ডপ রয়েছে।
দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে দিন-রাত প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীরা। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষে আগামী দু-একদিনের মধ্যেই প্রতিমাতে দেবেন রং-তুলির শেষ আচড়। এরপর প্রতিমাতে পোশাক আর অলংকার পরিয়ে করা হবে দৃষ্টিনন্দন।
তবে পূজার প্রস্তুতির এই শেষ বেলায় ঘরে বসে নেই কারু শিল্পীরাও। প্রতিটি পূজা মণ্ডপকে পূর্ণাঙ্গ শৈল্পিক রূপ দিতে কারু শিল্পীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কয়েকজন মৃৎ ও কারু শিল্পীর সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে এখন অনেকটা নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের। রাত-দিন জেগে, খেয়ে না খেয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন তারা। দিন দুয়েকের মধ্যেই প্রতিমাতে রং-তুলির আঁচড় দেয়া হবে। দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় আনন্দে উদ্বেলিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তরা জানান, দেবী দূুর্গার রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা জানাবেন তারা।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রণব কুমার দাস আমাদের কে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, সকলের সহযোগীিতায় শান্তিপূর্ণভাবেই পূজা সম্পন্ন করতে পারব। দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পূজা শুরু হওয়ার তিনদিন আগে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। উল্লেখ্য, আগামী ৭ অক্টোবর ষষ্ঠি পূজার মাধ্যমে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এরপর ১১ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫ দিনব্যাপী এ সার্বজনীন উৎসব।