আন্তর্জাতিক ডেস্ক ; মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রতারক, মিথ্যাবাদী, উন্মাদ, এমনকি হিটলার নামেও ডাকা হয়েছে। কিন্তু এই বিলিয়নিয়র ব্যবসায়ীকে কেউ কমিউনিস্ট নামে ডাকেনি। এবার সেটাও হলো। জ্যানি ও গ্রেগরি কেইহান নামের দুই ব্যক্তি ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় আদালতে সেই অভিযোগ করে মামলা ঠুকেছেন।
পেশায় আইনজীবী গ্রেগরি কেইহান ও তাঁর স্ত্রী জ্যানি অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প ও তাঁর পরিবার নয়া বিশ্বব্যবস্থা ( নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার) প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের এক চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। এই নয়া বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার এক গোপন ষড়যন্ত্রে ট্রাম্প পরিবার গত কয়েক দশক ধরে জড়িত।
কেইহান দম্পতির মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, নতুন বিশ্বব্যবস্থার সদস্য হওয়ার কারণে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণে আইনগতভাবে অযোগ্য। অন্য আরেক মামলায় তাঁরা অভিযোগ করেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রব্যবস্থা উৎখাতের এই ষড়যন্ত্র আজ থেকে নয়, বিশ শতকের গোড়া থেকে; প্রেসিডেন্ট থিয়োডোর রুজভেল্টের সময় থেকে শুরু।
ওই দম্পতি আরও অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প তথাকথিত ‘ইলুমিনাতি’ গোপন ধর্মীয় চক্রেরও সদস্য। ইলুমিনাতি কোনো একটি বা বিশেষ দলের নাম নয়। আঠারো শতকের শেষ পর্যায়ে কুসংস্কার ও ভ্যাটিকান-ভিত্তিক ক্যাথলিক প্রভাব ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিবাদী গোপন উদ্যোগ নেওয়া হয়। এদের সবাইকেই ইলুমিনাতি নামে অভিহিত করা হয়। কেইহান দম্পতির ভাষ্য, আসলে ইলুমিনাতি একটি কমিউনিস্ট ষড়যন্ত্র, ট্রাম্প সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর লক্ষ্য মার্কিন সরকার উৎখাত করে চিরস্থায়ী একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।
এই অভিযোগের পক্ষে কেইহান দম্পতি অবশ্য কোনো প্রমাণ হাজির করেননি। ওয়েব পত্রিকা ডেইলি বিস্ট-কে তাঁরা জানিয়েছেন, প্রমাণের কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ ব্যাপারটা অতি পরিষ্কার।
যুক্তরাষ্ট্রের কমিউনিস্ট পার্টি জানিয়েছে, ট্রাম্প তাদের দলের সদস্য নয়। ক্ষমতা দখলের কোনো গোপন ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও তারা জড়িত নয়।