নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনাকে হত্যা করতেই ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির ৬নং গ্যালারিতে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ২১ই আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতদের স্মরণে চিত্রপ্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমু বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায় না, তারাই শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে পাকিস্তানের সাথে একটি কনফেডারেশন তৈরি করা। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি, তারাই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তায় ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডগুলো কিন্তু কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা পরিবারের বিরুদ্ধে নয়। এ সবগুলো হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে। দেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর জন্যই এ হত্যাকাণ্ড।
আওযামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতক চক্র এদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে জনগণের মন থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাঁর কালজয়ী আদর্শ ও নেতৃত্বের জন্য ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে রয়েছেন।
সভা শেষে শিল্পমন্ত্রী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতদের স্মরণে চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মাহবুবুর রহমান হিরণ, ফারুক হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, আসাদুল হক আসাদ, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শ্যামল কুমার রায়, কেন্দ্রীয় নেতা রওশন জামির রানা, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।