তিনি গ্রেটেস্ট অলিম্পিয়ান। এটা আগে থেকেই প্রমাণিত। তবুও ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে প্রমাণ করার বাকি ছিল। সামনে চ্যালেঞ্জও ছিলো অনেক। বিশেষ করে মার্কিন দৌড়বিদ জাস্টিন গ্যাটলিন যেভাবে একের পর এক হুঙ্কার ছাড়ছিল এবং যেভাবে তিনি ইনজুরিতে পড়ছিলেন, তাতে শঙ্কার কালো মেঘ জমেছিল ভক্তদের আকাশে।
কিন্তু তার নাম যে উসাইন বোল্ট। নামেই যার পরিচয়, বজ্রমানব। সেই বজ্রের হুঙ্কার ধ্বনিত হলো রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকেও। এখানে এসেও অলিম্পিকের সেরা তিন ইভেন্ট, স্প্রিন্টের ১০০, ২০০ মিটার ও ১০০ মিটার রিলেতে সোনা জিতে নিলেন বোল্ট। ১০০, ২০০ মিটারের পর শেষ পর্যন্ত ১০০ মিটার রিলের সোনার পদকটাও উঠে গেলো তার গলায়। অবশেষে উসাইন বোল্ট এখন শুধু গ্রেট নয়, গ্রেটেস্ট।
বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে ১০০ মিটার রিলের (দলগত লড়াই) সোনার দৌড়ে অংশ নেন বোল্ট এবং তার বাকি তিন সতীর্থ আসাফা পাওয়েল, ইয়োহান ব্লেক এবং নিকেল অ্যাশমেয়াদে। ৩৭.২৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনার দৌড় শেষ করেন এই চারজন।
এই ইভেন্টে বোল্টদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; কিন্তু দলটি আসল দৌড় শুরু করার আগেই হয়ে গেলো ডিসকোয়ালিফাইড। সুতরাং, বোল্ট-ব্লেকদের জ্যামাইকার জন্য যেমন লড়াইটা আরও উন্মুক্ত হলো, তেমনি অন্য দেশের অ্যাথলেটরাও সুযোগ পেলো সামনে চলে আসার।
এ সুযোগে সবাইকে অবাক করে দিয়ে কিন্তু রৌপ্য পদকটা নিজেদের গলায় তুলে নিলো জাপানের চার দৌড়বিদ। রয়াতা ইয়াগামাতা, সোতা লিজুকা, ইউসিহিদে কিরিউ, আসুকা ক্যামব্রিজ- এ চার দৌড়বিদ সময় নিলেন ৩৭.৬০ সেকেন্ড।
দৌড় শেষ করার মিনিট খানেক পর যুক্তরাষ্ট্রকে ডিসকোয়ালিফায়েড ঘোষণা করা হয়। জাপানের পরে থেকে দৌড় শেষ করে ব্রোঞ্জ পদক জয়ের কথা থাকলেও ডিস কোয়ালিফায়েড হওয়ার কারণে পদকটা চলে গেলো কানাডার চার দৌড়বিদ আকিম হেইনেস, অ্যারোন ব্রাউন, ব্রেন্ডন রডনি, আন্দ্রে ডি গ্রাসের কাছে। তারা সময় নেন ৩৭.৬৪ সেকেন্ড।
অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ৯টি সোনা- চাট্টিখানি কথা নয়। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক থেকে শুরু বোল্টের। ১০০, ২০০ মিটার স্প্রিন্টের সঙ্গে দলগত লড়াই ১০০ মিটার রিলেতেও টানা সোনা জিতে আসছেন তিনি। এবার সেই জয়ের ষোলকলা পূর্ণ করেই দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অলিম্পিককে বিদায় জানালেন গ্রেটেস্ট অলিম্পিয়ান উসাইন বোল্ট।