নিউজ ডেস্ক : সন্তান ধারণ বেশ কাঙ্ক্ষিত বিষয়। তবে জানেন কি, ওজনাধিক্য বা অতিরিক্ত ওজন গর্ভধারণের জন্য খুব ঝুঁকি তৈরি করতে পারে? অতিরিক্ত ওজন কেবল যে গর্ভাবস্থাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে তা নয়, এর প্রভাব থেকে যায় গর্ভধারণের পরও। তাই গর্ভধারণের আগে ওজন মেপে নিন। জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, স্থূলতা সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে একটি বড় অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। এমনকি তারা কখনো কখনো সন্তান ধারণ করতে অক্ষমও হয়। এ ছাড়া সন্তান ধারণ করার পর মিসক্যারেজ ও নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্মদানের কারণও হতে পারে অতিরিক্ত ওজন।
এ ছাড়া যেসব নারীর ওজন বেশি, তাদের গর্ভাবস্থায় জেসটেশনাল ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। হতে পারে প্রি-একলামশিয়া, উচ্চ রক্তচাপ এসবের মতো ঝুঁকিপূর্ণ অসুখও।
বেশি ওজন কেবল নারীকেই নয়, তার ভবিষ্যৎ শিশুটিকেও ক্ষতির মধ্যে ফেলে। এসব শিশুর ছোটবেলা থেকেই ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, গর্ভধারণের আগে বাড়তি ওজনের বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। স্থূল হলে অবশ্যই ওজন কমানো জরুরি। ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ জন্য খেতে পারেন প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল। গরু ও খাসির মাংস এড়িয়ে মুরগির মাংস ও মাছ খেতে পারেন। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শমতো কিছু ওষুধ সেবন করতে পারেন, যেগুলো স্বাস্থ্যকর গর্ভধারণে সাহায্য করবে।