নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে কয়েকজন তরুণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
---
শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্ত্তী শ্যামল,নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি মানুষ মানুষের জন্য ,জীবন জীবনের জন্য – চির সত্য ও সুন্দর এ কথাগুলিকে হৃদয়ে ধারন করে চলেছেন প্রচার বিমুখ কয়েকজন ব্যক্তি । তবে তাদের মানবতাধর্মী কর্ম তৎপরতা ইতিমধ্যে নবীনগর বাসীর বিশেষ নজর কাড়তে সমর্থ হয়েছে। কয়েক জনের ব্যক্তিগত উদ্যোগের কর্মকান্ড এখন নবীনগরের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। নতুন প্রজন্মকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে লাউর ফতেহপুরের আদর্শ গ্রামে কয়েকজন তরুণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন “আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে” সময় হয়েছে নিজে জেগে উঠার এবং অন্যকে জাগানোর। “এখনি সময় সচেতন হওয়ার। আমাদের হতে হবে সুশিক্ষিত, নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে হবে স্ব-শিক্ষিত হওয়ার। তাহলেই আশা করা যায় আমরা কিছুটা হলেও উন্নত করতে পারব নিজেদের । দূর করতে পারব দুর্দশা।” এ ভাবনায় কয়েকজন তরুণ শিশুমনে অক্ষরজ্ঞান শেখানোর মাঝে নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছেন। নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের ( গুচ্ছ গ্রাম ) শিশুরা এখন লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থানীয় কয়েকজন তরুনের প্রচেষ্টায় ক্ষুধে শিশুদের লেখাপড়ায় উৎসাহীত করতে তারা নিয়মিত পাঠদান করে যাচ্ছেন। এ উদ্যোগ অনুকরনীয়। তরুন দের এ চেষ্টাকে সাধুবাধ জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন শেষে ইকরাম আলি (বি বি এ) শুভ (বি বি এ) শিলা (এস এস সি) শাহাবুদ্দিন (বি বি এ) এই চার মেধাবী ওই গ্রামের নতুন প্রজন্মকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে শিক্ষার আলোয় আলোর ছটা ছড়াচ্ছেন। নিয়মিত পাঠাদান করাচ্ছেন। তারা উপলব্ধি করছেন অস্বচ্ছল এখনো অনেক পরিবার শিশুদের লেখা পড়া না শিখিয়ে কাজে পাঠায়। অনেক পরিবারে “গরিবের লেখা পড়া শিখে কি লাভ” পুরনো এ ধ্যান ধারনা থাকায় শিশুরা শিক্ষার আলোয় নিজেদের গড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ইকরাম ,শুভ, শিলা,শাহাবুদ্দিন তারা চেষ্টা চালিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ঝড়ে পরার আগেই শিশুদের শিক্ষামুখী করতে কাজ করছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ঊঠতি বয়সী এসব তরুনদের উৎসাহিত করতে লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের সাবেক ও নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ কচিমনা এসব শিশুদের লেখাপড়ার জন্য একচালা বিশিষ্ঠ কক্ষ নির্মান করে দেন। চেয়ারম্যান বলেন আমি আরো কিছু করতে চাই। ছেলেদের এই উধ্যোগে আমি আনন্দিত।